শ্রীশ্রীঠাকুরঃ কথা হ'চ্ছে, এতদিনে তুমি তোমার স্ত্রীর প্রকৃতি সম্বন্ধে মোটামুটি বুঝতে পেরেছ, তাই সে যা', তার চাইতে অতিরিক্ত তার কাছ থেকে কিছু expectation (প্রত্যাশা) রেখো না । দুর্ব্ব্যবহারের জন্য মনকে প্রস্তুত ক'রে রেখো । অথচ ভিতরে তার প্রতি কোন আক্রোশ পোষণ ক'রো না । সহানুভূতি সহকারে বুঝে দেখো--- তার জন্ম, কর্ম, প্রকৃতি তাকে
অমনতরই ক'রে তুলেছে এবং তাই-ই তাকে অবশভাবে চালিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে । সুতরাং সে খারাপ ব্যবহার করলেও নিজেকে shocked (আহত) হ'তে দিও না ।
ফলকথা, সে যাই করুক, তা' তুমি গায়ে মেখো না । তুমি সদয় ব্যবহারই ক'রো, যদি দেখো তা'তে বেশী বাড়াবাড়ি করছে, তাহ'লে indifferent (উদাসীন) থেকো, কিংবা প্রয়োজন হ'লে বাহ্যত
একটু রূঢ়ও হ'তে পার, কিন্তু সেটা অভিনয়ের ভঙ্গিতে । মনকে তার দ্বারা affected (বিচলিত) হ'তে দিও না । সব সময় মনকে আরো খারাপ ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখবে, এবং নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবে যে, সে আরো খারাপ ব্যবহার করছে না । এইরকম একটা উদারতা, সহানুভূতি, ত্যাগ, তিতিক্ষা ও জ্ঞানের দৃষ্টি যদি তোমার ভিতরে খুলে যায়, তাহ'লে দেখবে, তোমার মনে চোট লাগবে কম, স্বাস্থ্যও অতখানি বিপন্ন হবে না । আর, তোমার স্ত্রীর যদি কোন পরিবর্তন হবার হয়, তাহ'লেও এইভাবে হবার সম্ভাবনা বেশী ।
তোমার স্ত্রী খারাপ এবং তুমি ভাল, কিংবা তুমি খারাপ, তোমার স্ত্রী ভাল এ-কথা কিন্তু আমার মনে হয় না । আমার মনে হয়, তোমাদের মধ্যে প্রকৃতিগত সামঞ্জস্য নেই, সেইজন্য তোমরা কেউ কাউকে বরদাস্ত করতে পার না, তাই খটাখটি বাধে । তুমি যদি অতখানি হিসাব ক'রে চল, দেখবে, অনেকখানি সুফল মিলবে । আর একটা কথা, বিশেষভাবে solicited (অনুরুদ্ধ) না হ'লে কখনও sexually engaged (যৌন-সংশ্রবে লিপ্ত) হবে না । একটা মানুষ যতই বড় হো'ক না কেন, তার বিয়ে যদি ভাল না হয়, সে যদি সুসন্তান রেখে যেতে না পারে, তাহ'লে কিন্তু তার মৃত্যুর সঙ্গে-সঙ্গে তার সাধনার ধারা লোপ পেয়ে যাওয়ার মত হয় ।
অবশ্য গুণগ্রাহী বা ভক্তজনের ভিতর-দিয়ে অনেকের সাধনার ধারা দীর্ঘকাল বজায় থাকে না, তা' নয় । তবে উপযুক্ত সন্তান-সন্ততি থাকলে রক্তের ধারাটা বজায় থাকে এবং বিয়ে-থাওয়া ও শিক্ষা-দীক্ষার গোলমাল না হ'লে অনেক সদগুণই বংশপরম্পরায় প্রবাহিত হ'য়ে চলে । সেইটে না থাকলে কোন বিশেষ সময়ে একটা বংশ বা জাতির যতই উন্নতি হো'ক না কেন, সে উন্নতি ধ'রে রাখা যায় না ।।
অমনতরই ক'রে তুলেছে এবং তাই-ই তাকে অবশভাবে চালিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে । সুতরাং সে খারাপ ব্যবহার করলেও নিজেকে shocked (আহত) হ'তে দিও না ।
ফলকথা, সে যাই করুক, তা' তুমি গায়ে মেখো না । তুমি সদয় ব্যবহারই ক'রো, যদি দেখো তা'তে বেশী বাড়াবাড়ি করছে, তাহ'লে indifferent (উদাসীন) থেকো, কিংবা প্রয়োজন হ'লে বাহ্যত
একটু রূঢ়ও হ'তে পার, কিন্তু সেটা অভিনয়ের ভঙ্গিতে । মনকে তার দ্বারা affected (বিচলিত) হ'তে দিও না । সব সময় মনকে আরো খারাপ ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখবে, এবং নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবে যে, সে আরো খারাপ ব্যবহার করছে না । এইরকম একটা উদারতা, সহানুভূতি, ত্যাগ, তিতিক্ষা ও জ্ঞানের দৃষ্টি যদি তোমার ভিতরে খুলে যায়, তাহ'লে দেখবে, তোমার মনে চোট লাগবে কম, স্বাস্থ্যও অতখানি বিপন্ন হবে না । আর, তোমার স্ত্রীর যদি কোন পরিবর্তন হবার হয়, তাহ'লেও এইভাবে হবার সম্ভাবনা বেশী ।
তোমার স্ত্রী খারাপ এবং তুমি ভাল, কিংবা তুমি খারাপ, তোমার স্ত্রী ভাল এ-কথা কিন্তু আমার মনে হয় না । আমার মনে হয়, তোমাদের মধ্যে প্রকৃতিগত সামঞ্জস্য নেই, সেইজন্য তোমরা কেউ কাউকে বরদাস্ত করতে পার না, তাই খটাখটি বাধে । তুমি যদি অতখানি হিসাব ক'রে চল, দেখবে, অনেকখানি সুফল মিলবে । আর একটা কথা, বিশেষভাবে solicited (অনুরুদ্ধ) না হ'লে কখনও sexually engaged (যৌন-সংশ্রবে লিপ্ত) হবে না । একটা মানুষ যতই বড় হো'ক না কেন, তার বিয়ে যদি ভাল না হয়, সে যদি সুসন্তান রেখে যেতে না পারে, তাহ'লে কিন্তু তার মৃত্যুর সঙ্গে-সঙ্গে তার সাধনার ধারা লোপ পেয়ে যাওয়ার মত হয় ।
অবশ্য গুণগ্রাহী বা ভক্তজনের ভিতর-দিয়ে অনেকের সাধনার ধারা দীর্ঘকাল বজায় থাকে না, তা' নয় । তবে উপযুক্ত সন্তান-সন্ততি থাকলে রক্তের ধারাটা বজায় থাকে এবং বিয়ে-থাওয়া ও শিক্ষা-দীক্ষার গোলমাল না হ'লে অনেক সদগুণই বংশপরম্পরায় প্রবাহিত হ'য়ে চলে । সেইটে না থাকলে কোন বিশেষ সময়ে একটা বংশ বা জাতির যতই উন্নতি হো'ক না কেন, সে উন্নতি ধ'রে রাখা যায় না ।।
(আলোচনা প্রসঙ্গে ৪র্থ, ৯।৯।৪২)
Post a Comment