Ads (728x90)

SRI SRI THAKUR VIDEO

Like this page

Recent Posts

World time

Add as a follower to automatically get updated Article. Jaiguru!

মতিদা (চ্যাটার্জী)- দেবতা বা ইষ্টের পুজা, অর্চনা, সন্ধ্যা, প্রার্থনা, আরাধনা ইত্যাদির মূল তাৎপর্য্য কি ? তা' করতে হয় কিভাবে ? এবং কিভাবেই বা তা' সার্থক হয় ?


শ্রীশ্রীঠাকুর: এর প্রধান লক্ষ্য হ'ল চারিত্রিক অনুরঞ্জনা । দেবতার পুজা-অর্চনা করতে গেলে আগে ইষ্টের ভাব অন্তরে জাগ্রত ক'রে সেই ভাবে অনুপ্রাণিত হ'য়ে দেবতার স্মরণ-মনন করতে হয় । তাঁকে স্মরণ করা মানে -- তাঁর চলন-চরিত্র ও গুণগরিমা স্মৃতিতে এনে অনুশীলনের ভিতর-দিয়ে আয়ত্ব করতে চেষ্টা করা, আর, মনন করা মানে -- ঐ ভাব ক্রমাগত চিন্তার ভিতর-দিয়ে মনোজগতে উচ্ছল ক'রে তোলা যাতে আচরণ ও চরিত্র তাঁতে অভিষিক্ত হ'য়ে ওঠে ।



ঐ ভাব অন্তরে এমনভাবে প্রদীপ্ত হ'য়ে ওঠা চাই যে প্রত্যেকটি চলনের ভিতর তার ছাপ পড়ে, এবং তার প্রভাবে যা'-কিছু ভাবা,বলা, করা, চলা, বোধ ও জানা ; এক কথায় সমগ্র ব্যক্তিত্বই ঐ ভাবে বিনায়িত হ'য়ে ওঠে । তাঁর মননের মধ্যে কিন্তু তাঁর রূপটাও আছে । গুণের চিন্তা করতে গেলে গুণের অভিব্যক্তি যে রূপের ভিতর-দিয়ে যে- রকমে হয়, তারও অনুধ্যান করতে হবে । আর, সঙ্গে-সঙ্গে সেগুলি হাতে কলমে আয়ত্ব করতে চেষ্টা করতে হবে । তাঁর গুণগুলি আলাদা-আলাদা ক'রে খুঁটিনাটিভাবে এবং সবগুলি একত্র ক'রে সামগ্রিকভাবে অভ্যাসগত ক'রে তোলবার চেষ্টা করতে হবে । একদিনে এটা হবে না এতে সময় লাগবে । তাই, একটা মুগ্ধ, আকুল, নাছোড়বান্দা সম্বেগ নিয়ে লেগে-পড়ে থাকতে হবে ।

তাঁর রকমে অভিষিক্ত হ'য়ে তঁদনুগ চলনে চলতে হবে। ভুলভ্রান্তি হ'লেও বা বাধাবিপত্তি আসলেও না-ঘাবড়ে সঙ্কল্প-সাধনে তৎপর থাকতে হবে । সঙ্গে-সঙ্গে পরিবেশকেও ঐভাবে ভাবিত ক'রে তুলতে হবে । ভাবের মধ্যে আছে হওয়া আর হ'তে যা' করতে হয়, তা' করা । দেবতার পুজা-অর্চ্চনা সার্থক হয় এমনতর ক'রেই । ইষ্ট-আরাধনা করতে গেলেও চাই পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুশীলনে তাঁর নির্দেশগুলিকে বাস্তবে মূর্ত্ত করা, তাঁর চলন-চরিত্র, আচার-ব্যবহার কথাবার্তাকে স্বকীয়
বৈশিষ্ট্য-অনুযায়ী নিজের ভিতর assimilate ( আত্মীকৃত) করা ।

 আরাধনা নানা ব্যাপার বা নানা বিষয়ের হতে পারে । সেদিক্-দিয়ে আরাধনা মানেই হ'চ্ছে সশ্রদ্ধ অনুরাগ নিয়ে কোন-কিছু হাতে-কলমে করতে তৎপর হওয়া, যেমনভাবে, যে-পদ্ধতিতে তাঁ নিখুঁত ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা যায় তা' করা, ঐ কাজের প্রত্যেকটি অংশ সঙ্গতি-সহকারে নিশ্ছিদ্র -ভাবে ক'রে সামগ্রিকভাবে পুরো কাজটিকে যথাযথভাবে সুসিদ্ধ করা, নিষ্পন্ন করা-- বিহিত বিশেষের সুসংযোগে ! তাই, যখন যে-আরাধনা করতে হবে সেই আরাধনার ধারা-অনুযায়ী নিজেকে দীপন তালে নিয়ন্ত্রিত ও বিন্যস্ত করতে হবে ।

সবই ঐ খাতে প্রবাহিত করতে হবে । কোন-কিছু বেসুরো বা বিরুদ্ধ রকমকে প্রশ্রয় দিলে আরাধনায় বিঘ্ন উপস্থিত হবে এবং সিদ্ধিও বিলম্বিত হবে তাতে । এ-কথা বিশেষ ক'রে স্মরণ রাখতে হবে যে, বিহিত করণই বিহিত ফল প্রসব ক'রে থাকে, অবিহিত চলন বিভ্রান্তিরই স্রষ্টা ।।

।। (আলোচনা প্রসঙ্গে ৫ম খন্ড)।।

Post a Comment