শ্রীশ্রীঠাকুর --- গোড়াতেই যদি সৎসঙ্গ ও ঠাকুরের কথা বল, তাহ'লে সেটা হবে তোমার পক্ষে বোকামি ।মানুষের বাস্তব স্বার্থের প্রসঙ্গ থেকে শুরু ক'রে এমনভাবে আলোচনা করতে হয়, যাতে তারা নিজের থেকেই তোমার ইষ্ট বা আদর্শ সম্বদ্ধে আগ্রহশীল হ'য়ে ওঠে । বিজ্ঞান-মনোবিজ্ঞান, ঘর-সংসার, মানুষের ছেলেপেলে, বাজার-হাট, খাওয়া-দাওয়া --- যে বিষয়েই কথা শুরু কর না কেন,--কথার adjustment (বিন্যাস) এমন হওয়া চাই, এমন হওয়া চাই, এমন দরদী রকমে কথা বলা চাই, যাতে মানুষ বোঝে যে তোমার মতন আপনজন তার আর পৃথিবীতে কেউ নেই । তোমার সঙ্গই যেন সে ছাড়তে না চায় । তোমার সম্বন্ধে আগ্রহ-বিধুর হ'য়ে ওঠে । এমন ক'রে মানুষের প্রাণে হাত দিয়ে যদি কথা বলতে পার, আমার স্বার্থে স্বার্থান্বিত, আমাকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসে, এমনতর মানুষ দেখি না । তখন সে তোমার সম্বন্ধে আগ্রহশীল না হ'য়েই পারবে না । সেই সময় ফাঁক বুঝে, তাঁর স্বার্থ সম্পূরণের দৃষ্টিকোন থেকে যেভাবে যা' বলা লাগে তাই বলতে হয় ।
তুমি যতই স্থুল বাস্তবে ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠাপরায়ণ হবে, ততই তোমার কথা বেরুবে, dealing(ব্যবহার) বেরুবে, চাউনি বেরুবে কায়দামতন ।
এরপর শ্রীশ্রীঠাকুর পরপর চারটি বাণী দিলেন ।
শেষে কথায়-কথায় বললেন --- চাণক্য ও বুদ্ধদেবের সমাবেশ হ'য়ে যদি কেউ আজ আসে, তাহ'লে সে এইযুগে successful (কৃতকার্য্য) হ'তে পারে ।
( আলোচনা প্রসঙ্গে, ঊনবিংশ খন্ড)
Post a Comment