আগ্রাতে স্বামীবাগের রাধাস্বামী সম্প্রদায়ের প্রথম সন্ত শিবদয়াল
সিংজীর (রাধাস্বামী সাহেবের) একজন শিষ্য ছিলেন। তাঁর নাম রায়বাহাদুর
শালগ্রাম সিং। তিনি তাঁর সময়ে ভারতের পোষ্টমাষ্টার জেনারেল ছিলেন। তিনি
প্রতি মাসে বেতন হিসাবে তখনকার দিনে সাড়ে তিনহাজার বা চারহাজার টাকা বেতন
পেতেন।
বেতনপ্রাপ্তি মাত্র তা গুরুর চরণে এসে 'ভেট' দিতেন। গুরু সেই টাকা থেকে একহাতে মুঠো করে যা তুলে দিতেন, তাই দিয়ে তিনি সংসার নির্বাহ করতেন। অফিস যাবার আগে এবং অফিস থেকে ফিরে এসে গুরুকে দর্শন করা ছিল তার নিত্য কাজ।
বেতনপ্রাপ্তি মাত্র তা গুরুর চরণে এসে 'ভেট' দিতেন। গুরু সেই টাকা থেকে একহাতে মুঠো করে যা তুলে দিতেন, তাই দিয়ে তিনি সংসার নির্বাহ করতেন। অফিস যাবার আগে এবং অফিস থেকে ফিরে এসে গুরুকে দর্শন করা ছিল তার নিত্য কাজ।
যদি কোন সময় এসে দেখতেন, গুরু ভজনগৃহে আছেন, তাহলে যত রাত্রি হোক তিনি
অফিসের সেই ধড়াচূড়া পরেই ভজনগৃহের রুদ্ধ দরজার কাছেই বসে থাকতেন । একদিন
রাধাস্বামী সাহেব সমাধিমগ্ন ছিলেন।
রাত্রি অতিবাহিত হল, সকাল আটটা হল, তবুও তাঁর দরজা খুলল না । রায় শালগ্রাম সাহেবের বাড়ীর পরিজনরা বারবার এসেও তাঁকে বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারলেন না। বেলা ৯টার সময় রাধাস্বামী সাহেবের ধর্মপত্নী রাধাবাঈ এসে দেখেন, একটা সিঁড়ি লাগিয়ে ভজনগৃহের দেওয়ালের উপর দিকে যে সংকীর্ণ ভেণ্টিলেটার আছে তার মধ্যে তিনি নিজের মাথা ও মুখ ঢুকিয়ে নিজের ইষ্টমূর্তি গুরুকে দর্শন করছেন।
শ্রীমতী রাধাবাঈ তাঁকে সস্নেহে মৃদু ভৎর্সনা সুরু করলে তিনি অতিকষ্টে মুখ বের করে নিয়ে মাতাজীকে বলেন---মাতাজী গুরুজীকা শ্রীমূর্তি দর্শনকে লিয়ে মেরে দিল তড়পাতে হৈ। তিনি সিঁড়ি বেয়ে যখন নামলেন, তখন দেখা গেল, তাঁর গালের চামড়া ঘর্ষণের চাপে উঠে গেছে, কপাল ও দুটো কানও রক্তাক্ত ।
যাইহোক এই সময় সমাধি হতে রাধাস্বামী সাহেবের ব্যুত্থান ঘটে। তিনি টলতে টলতে দরজা খুলে শালগ্রামজীকে তদবস্থায় দেখে নিজেই তাঁকে জড়িয়ে ধরে ঝরঝর করে কাঁদতে থাকেন । শালগ্রামজীর গুরুভক্তির আরও কাহিনী শুনেছিলাম । তাঁর গুরুর নিবাসস্থল থেকে প্রায় চারমাইল দূরে যমুনা । তিনি অতদূরে হেঁটে গিয়ে প্রতিদিন গুরুর স্নানের জন্য জল বয়ে আনতেন।
এজন্যে সাধারণের মধ্যে গুঞ্জন উঠে । সকলেই বলতে থাকেন----গুরুর পাল্লায় পড়ে এতবড় একটা লোক পাগল হয়ে গেছে ।
শালগ্রামজী এই লোকাপবাদের কথা শুনতে পেয়ে দুপায়ে ঘুঙুর বেঁধে দুবাহু ও মাথায় টুকরো টুকরো নেকড়া বেঁধে নাচতে নাচতে জল বয়ে আনতে লাগলেন। গুরুসেবার জন্য তিনি লোকপবাদকে বিন্দুমাত্র পরোয়া করেন নি ।তাঁর এই রকম বেপরোয়া ভাব ও গুরুভক্তি দেখে লোকের গুঞ্জন আপনা হতে স্তব্ধ হয়ে গেছেল।
পরবর্তীকালে দেখা যায় রাধাস্বামী সাহেব তাঁর এই গুরুগত প্রাণ ভক্তকেই তাঁর গদীতে দ্বিতীয় সন্তসদ্গুরু হিসাবে মনোনীত করে গেছলেন । সন্তমতালম্বী লক্ষলক্ষ ভক্তদের কাছে আজ ও তিনি 'হুজুর' মহারাজ নামে পুজা পাচ্ছেন ।
এই হুজুর মহারাজই পরম দয়াল শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের মাতা মনোমোহিনী দেবীর দীক্ষাগুরু ছিলেন।
রাত্রি অতিবাহিত হল, সকাল আটটা হল, তবুও তাঁর দরজা খুলল না । রায় শালগ্রাম সাহেবের বাড়ীর পরিজনরা বারবার এসেও তাঁকে বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারলেন না। বেলা ৯টার সময় রাধাস্বামী সাহেবের ধর্মপত্নী রাধাবাঈ এসে দেখেন, একটা সিঁড়ি লাগিয়ে ভজনগৃহের দেওয়ালের উপর দিকে যে সংকীর্ণ ভেণ্টিলেটার আছে তার মধ্যে তিনি নিজের মাথা ও মুখ ঢুকিয়ে নিজের ইষ্টমূর্তি গুরুকে দর্শন করছেন।
শ্রীমতী রাধাবাঈ তাঁকে সস্নেহে মৃদু ভৎর্সনা সুরু করলে তিনি অতিকষ্টে মুখ বের করে নিয়ে মাতাজীকে বলেন---মাতাজী গুরুজীকা শ্রীমূর্তি দর্শনকে লিয়ে মেরে দিল তড়পাতে হৈ। তিনি সিঁড়ি বেয়ে যখন নামলেন, তখন দেখা গেল, তাঁর গালের চামড়া ঘর্ষণের চাপে উঠে গেছে, কপাল ও দুটো কানও রক্তাক্ত ।
যাইহোক এই সময় সমাধি হতে রাধাস্বামী সাহেবের ব্যুত্থান ঘটে। তিনি টলতে টলতে দরজা খুলে শালগ্রামজীকে তদবস্থায় দেখে নিজেই তাঁকে জড়িয়ে ধরে ঝরঝর করে কাঁদতে থাকেন । শালগ্রামজীর গুরুভক্তির আরও কাহিনী শুনেছিলাম । তাঁর গুরুর নিবাসস্থল থেকে প্রায় চারমাইল দূরে যমুনা । তিনি অতদূরে হেঁটে গিয়ে প্রতিদিন গুরুর স্নানের জন্য জল বয়ে আনতেন।
এজন্যে সাধারণের মধ্যে গুঞ্জন উঠে । সকলেই বলতে থাকেন----গুরুর পাল্লায় পড়ে এতবড় একটা লোক পাগল হয়ে গেছে ।
শালগ্রামজী এই লোকাপবাদের কথা শুনতে পেয়ে দুপায়ে ঘুঙুর বেঁধে দুবাহু ও মাথায় টুকরো টুকরো নেকড়া বেঁধে নাচতে নাচতে জল বয়ে আনতে লাগলেন। গুরুসেবার জন্য তিনি লোকপবাদকে বিন্দুমাত্র পরোয়া করেন নি ।তাঁর এই রকম বেপরোয়া ভাব ও গুরুভক্তি দেখে লোকের গুঞ্জন আপনা হতে স্তব্ধ হয়ে গেছেল।
পরবর্তীকালে দেখা যায় রাধাস্বামী সাহেব তাঁর এই গুরুগত প্রাণ ভক্তকেই তাঁর গদীতে দ্বিতীয় সন্তসদ্গুরু হিসাবে মনোনীত করে গেছলেন । সন্তমতালম্বী লক্ষলক্ষ ভক্তদের কাছে আজ ও তিনি 'হুজুর' মহারাজ নামে পুজা পাচ্ছেন ।
এই হুজুর মহারাজই পরম দয়াল শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের মাতা মনোমোহিনী দেবীর দীক্ষাগুরু ছিলেন।
Post a Comment