বেদের সহজ সরল নিরাকার একেশ্বরবাদ যা আমরা বিকৃত করে ফেলেছি-
(১)ছান্দেগ্য উপনিষদের ৬ নম্বর অধ্যায়ের ২ নম্বর পরিচ্ছেদের ১ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-
সংস্কৃত ভাষায় – “একাম এবাদ্বিতীইয়ম”
অর্থ- ‘‘স্রষ্টা মাত্র একজনই দ্বিতীয় কেউ নেই’’।
[2]Shvetashvata ra Upanishad Ch.6 V.9
(২)শ্বেতাশ্বতর উপনিষদদের ৬নম্বর অধ্যায়ের ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে –
সংস্কৃত ভাষায় –“না চস্য কসুজ জানিত না কধিপহ”
অর্থ- “সর্ব শক্তিমান ঈশ্বরের কোন বাবা মা নেই, তাঁর কোন প্রভু নেই
সর্ব শক্তিমান ঈশ্বরের বাবা নেই,মা নেই, তাঁর চেয়ে বড় কেউ নেই”
[3] Shvetashvatara Upanishad Ch.4 V.19
(৩) শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের ৪নম্বর অধ্যায়ের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-
সংস্কৃত ভাষায় – “ন তস্য প্রতিমাঃ আস্তি”
অর্থ- “সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই,প্রতিমূর্তি নেই,প্রতিকৃতি নেই, কোন রূপক নেই,কোন ছবি নেই ,কোন ফটোগ্রাফ নেই ,তাঁর কোন ভাস্কর্য ,তাঁর কোন মূর্তি নেই”
[4] Shvetashvatara Upanishad Ch.4 V.20
(৪) শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের ৪নম্বর অধ্যায়ের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-
সংস্কৃত ভাষায় – “ন চাক্ষুসা পস্যতি চাস কানৈঅম”
অর্থ- “সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে কেউ দেখতে পায় না”
[5]Yajurveda Ch.32 V.3
(৫)যজুবেদের ৩২ নম্বর অধ্যায়ের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-
সংস্কৃত ভাষায় – “ন তস্য প্রতিমা আস্তি”
অর্থ- “সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কোন মূর্তি নেই”
[6] Yajurveda Ch.40 V.8
(৬) যজুবেদের ৪০ নম্বর অধ্যায়ের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে
“সর্বশক্তিমান ঈশ্বর নিরাকার ও পবিত্র’’
[7]Yajurveda Ch.40 V.9
(৭) যজুবেদের ৪০ নম্বর অধ্যায়ের ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-
সংস্কৃত ভাষায় –“অন্ধতম প্রভিশ্যন্তি য়ে অসম্ভূতি মুপাস্তে”
অর্থ- “তারা অন্ধকারে প্রবেশ করে যারা প্রাকৃতিক বস্তুর পূজা করে ।যেমনঃ আগুন,পানি ,বাতাস। এখানে আরও উল্লেখ আছে তারা আরও অন্ধকারে প্রবেশ করে যারা সম্ভুতির পূজা করে। সম্ভুতি হল মানুষের তৈরী বস্তু যেমন চেয়ার, টেবিল,ইত্যাদি ।এ কথা বলা হয়েছে যজুবেদের ৪০ নম্বর অধ্যায়ের ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে”।
[8]Atharvaveda Bk.20 Hymn58 V.3
(৮)অথর্ববেদের২ ০ নম্বর অধ্যায়ের ৫৮ নম্বর শ্লোকের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-
সংস্কৃত ভাষায়-“দেব মহা অসি”
অর্থ- “সৃষ্টিকর্তা সুমহান”।
Courtesy:
(১)ছান্দেগ্য উপনিষদের ৬ নম্বর অধ্যায়ের ২ নম্বর পরিচ্ছেদের ১ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-
সংস্কৃত ভাষায় – “একাম এবাদ্বিতীইয়ম”
অর্থ- ‘‘স্রষ্টা মাত্র একজনই দ্বিতীয় কেউ নেই’’।
[2]Shvetashvata ra Upanishad Ch.6 V.9
(২)শ্বেতাশ্বতর উপনিষদদের ৬নম্বর অধ্যায়ের ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে –
সংস্কৃত ভাষায় –“না চস্য কসুজ জানিত না কধিপহ”
অর্থ- “সর্ব শক্তিমান ঈশ্বরের কোন বাবা মা নেই, তাঁর কোন প্রভু নেই
সর্ব শক্তিমান ঈশ্বরের বাবা নেই,মা নেই, তাঁর চেয়ে বড় কেউ নেই”
[3] Shvetashvatara Upanishad Ch.4 V.19
(৩) শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের ৪নম্বর অধ্যায়ের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-
সংস্কৃত ভাষায় – “ন তস্য প্রতিমাঃ আস্তি”
অর্থ- “সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই,প্রতিমূর্তি নেই,প্রতিকৃতি নেই, কোন রূপক নেই,কোন ছবি নেই ,কোন ফটোগ্রাফ নেই ,তাঁর কোন ভাস্কর্য ,তাঁর কোন মূর্তি নেই”
[4] Shvetashvatara Upanishad Ch.4 V.20
(৪) শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের ৪নম্বর অধ্যায়ের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-
সংস্কৃত ভাষায় – “ন চাক্ষুসা পস্যতি চাস কানৈঅম”
অর্থ- “সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে কেউ দেখতে পায় না”
[5]Yajurveda Ch.32 V.3
(৫)যজুবেদের ৩২ নম্বর অধ্যায়ের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-
সংস্কৃত ভাষায় – “ন তস্য প্রতিমা আস্তি”
অর্থ- “সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কোন মূর্তি নেই”
[6] Yajurveda Ch.40 V.8
(৬) যজুবেদের ৪০ নম্বর অধ্যায়ের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে
“সর্বশক্তিমান ঈশ্বর নিরাকার ও পবিত্র’’
[7]Yajurveda Ch.40 V.9
(৭) যজুবেদের ৪০ নম্বর অধ্যায়ের ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-
সংস্কৃত ভাষায় –“অন্ধতম প্রভিশ্যন্তি য়ে অসম্ভূতি মুপাস্তে”
অর্থ- “তারা অন্ধকারে প্রবেশ করে যারা প্রাকৃতিক বস্তুর পূজা করে ।যেমনঃ আগুন,পানি ,বাতাস। এখানে আরও উল্লেখ আছে তারা আরও অন্ধকারে প্রবেশ করে যারা সম্ভুতির পূজা করে। সম্ভুতি হল মানুষের তৈরী বস্তু যেমন চেয়ার, টেবিল,ইত্যাদি ।এ কথা বলা হয়েছে যজুবেদের ৪০ নম্বর অধ্যায়ের ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে”।
[8]Atharvaveda Bk.20 Hymn58 V.3
(৮)অথর্ববেদের২ ০ নম্বর অধ্যায়ের ৫৮ নম্বর শ্লোকের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে আছে-
সংস্কৃত ভাষায়-“দেব মহা অসি”
অর্থ- “সৃষ্টিকর্তা সুমহান”।
Courtesy:
👉 #বেদে 📕 মূর্তিপূজা #স্বীকৃত ☝, বেদে #ভগবানের #মূর্তি গড়ে তার পুজার 🌹🌼সম্পূর্ণ #বিধান রয়েছে।
ReplyDelete.
👉যারা বলেছে বেদে মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ তারা
পড়বেন ____________
👉পবিত্র 🌺বেদে মূর্তিপূজা রেফারেন্সসহ প্রমাণ🌴🌴
_______________________________________
🚩কিরুপ প্রতিমা (মূর্তি) ? কিভাব নির্মান করে🔥 পুজা করবে তার প্রমাণ✔✅
___________________________________
🔵কচিৎ প্রতিমা কিং প্রতিমা
কিং নিরাধম অাদ্যম কিমানামৎ পরিধি কচিৎ।।
(📚 #ঋগ্বেদ - অষ্টম মন্ডল, ১৮ সুক্ত, তৃতীয় মন্ত্র)
👉 #অনুবাদ :- কি রুপে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি নির্মিত হবে কি নাম হবে তার?
.
ঈশ্বর বললেন ______________
🔵স্যাম--
অস্যসচামে মৃত্তিকাচামে কিরয়ষচামে পর্বতাসচামে।
শিখাতাসচামে বানস্পত্যচামে হিরন্যস্যচামে অপ্সচামে।
শাম্চ্যমে লোহশ্চ্যমে শিষ্যশ্চমে যঞ্জেন কল্পতাম্।
( 📚#যজুর্বেদ - অষ্টম অধ্যায় -১৬ নং মন্ত্র )
👉 #অনুবাদ :- প্রস্তর, মৃত্তিকা (মাটি) গীরি, পর্বত,শিষা (ধাতু) বালুকা(বালি) বৃক্ষ (কাঠ), সুবর্ণ, জল (পানি) লৌহ (লোহা) শিষা প্রভৃতি দ্বারা ঈশ্বরের শরীর রচনা কর যা যঞ্জের বিকল্প উপাসনা হিসেবে বিবেচ্য।
✔ #টীকা- এখানে মাটি, বালি জল,কাঠ, লোহা,তামা দ্বারা ঈশ্বরের বা দেবতার মূর্তি নিমার্ন এর উল্লেখ করা হয়েছে😤👌👌।
_____________________________
✌উক্ত মূর্তিতে ঈশ্বর বা দেবতাকে অাবাহন করার বিধি 🔥🔥🔥__________^____________
🌼এহষমা নোম মাতিষ
শমা ভবতুতে তননুঃ
( 📚 #অথর্ববেদ - কান্ড ২, অনুবাদ ৩ মন্ত্র -৪)
.
👉 #বঙ্গানুবাদ - এই পবিত্র মাটি ও প্রস্ততরে তুমি (ঈশ্বর/দেবতা) এসো, এই পাষান মাটি তোমার শরীর হোক।
_________________________________
👣 উক্তি প্রতিমূর্তিটি শোভনীয় হবে সেটাও বেদের বর্ণনা _______
শাং প্রর্সচাপ্রয়ো সাঃ সর্ন্তো ঃ
নুবিরিকম ময়া হি মনস্যা শাং শিবেন।।
📚 যযুবেদ- অষ্টম #অধ্যায় -১৬ নং মন্ত্র
👉 অনুবাদ:- #সুরর্ণাদি দ্বারা, পবিত্র জল হেতু সুসজ্জিত অঙ্গ প্রতঙ্গ সহিত রচিত ঈশ্বরের মূর্তি।
✅ #টীকা___ এখানে ভগবানের হাত পা সুসজ্জিত ভাবে নির্মাণ করতে বলা হয়ছে পবিএ রঞ্জ জল দ্বারা।।
_____________________________
#সহস্র প্রতিমূর্তি বিশ্বরুপম্
পরমঃ ঈশ্বর বিবির্ধ প্রতিমাঃ।।
( 📚 #যজু র্বেদ - অধ্যায় -১৩/মন্ত্র -৪১)
👉 অনুবাদ---- একই ঈশ্বরের অনেক রুপের প্রতিমা (দেবদেবী কল্পিত) বিশ্বে রচিত হোক!
|
|
|
✏✏✏✏📝এবার অাসি
বেদের পরে পুরানে _ _______________
#পুরাণাদি শাস্ত্রে 📝 দেবতার মূর্তি নির্মান ও পুজা:-
.
শৈল দারু মহি লৌহ লৌপ্য লৌক
সৈকৈতৈ মনো ময়ি মনিময়িঃ প্রতিমাস্থিতাঃ
👉 #সরলার্থ - শিলা (পাথর),দারু, সুর্বণাদি ধাতু, লৌপ্য(লোহা) মাটি চন্দনাদি দ্বারা চিত্তাকর্ষক মনোরম দেবতার প্রতিমা অধিষ্ঠিত করা।
( 📚👌 #স্কন্দ পুরান- ১১ নং শ্লোক)
.
✔টীকা- এখানে দেবতার মূর্তি স্থাপন করে পুজা করার বিধান রয়েছে।
.
#মাতস্য প্রতিমানাস্তি -- (📚 #বেদ ৫৬/৮৯/২৩)
👉#অনুবাদ - সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ২টি প্রতিমা হয় না, দেবদেবী ঈশ্বরের ২য় কোনো রুপ নয় তারা ঈশ্বরের বহিপ্রকাশ।
_____________________________
.
👉বেদে কোথায় উল্লেখ 📝👈নেই যে প্রতিমা 👋👏পুজা করলে #নরকে পাঠানো হবে বড়ং প্রতিমা পুজার বহু শ্লোক স্রুতি বেদে স্বীকৃত 👍👍, বাজারে বহু ফালতু বই বিত্রুি করে যেখানে বেদকে নিয়ে বিধর্মীদের মিথ্যাচারের😠😠 শেষ। এইডব ফালতু বই পড়াটা বোকামি ।
___________________________^
যারা বলবে বেদে 🙏মূর্তিপুজা নিষিদ্ধ তাদের এই পোস্ট টি Share 👌করুন নতুবা Copy করে paste ♻করে দিন।
তাহলে কি বলতে পারি না বেদ গীত এগুলো মিথ্যা, তা না হলে কেন এক এক রকম কথা বলছে?
Deleteyes bro you are right. Hindu religion is fake
Deleteএখান থেকে তো বোঝা গেল যে বেদের একটা কথা আরেকটা কথার বিরুদ্ধে এবং বিকৃত হয়ে গেছে
Deleteএখন আমরা দেখবো বেদে কি আসলেই দুর্গা নেই এবং দুর্গাপূজার মতো মহাপূজা হঠাৎ করেই মাঠি ফুঁড়ে বের হয়েছে। কৃষ্ণ যজুর্বেদের অন্তর্গত তৈত্তিরীয় আরণ্যকে বলা হয়েছে-
ReplyDeleteতাং অগ্নিবর্ণাং তপসা জ্বলন্তীং বৈরোচনীং কর্মফলেষু জুষ্টাম,
দুর্গাং দেবীং শরণমহং প্রপদ্যে সুতরসি তরমে নমঃ।।
(তৈত্তিরীয় আরণ্যক-১০/২)
অর্থাৎ, অগ্নিবর্ণা তপ প্রদীপ্তা সূর্য ( বা অগ্নিস্বরূপিণী) যিনি কর্মফলের প্রার্থিত হন, সেই দুর্গাদেবীর আমি শরণাপন্ন হই, হে সুন্দররূপে, ত্রাণকারিণী, তোমাকে নমস্কার। ঋগবেদে দেবীসুক্ত যা দুর্গাপূজায় চন্ডীপাঠের পূর্বে পাঠ করা বিধি আছে, সেখানে দেবীকে পরমা প্রকৃতি, নির্বিকারা ও জগতের ধাত্রীরূপে বর্ণিত আছে।
সমস্ত দেবতার তেজ হতে দেবীদুর্গার আবির্ভাবের পর দেবী দুর্গা দেবতাদের ঋকমন্ত্রে নিজের পরিচয় দিলেন বলে দেবী পুরাণে উল্লেখিত আছে; আর সেই ঋকমন্তই হলো ঋগবেদের দেবীসুক্ত। এছাড়া বেদের রাত্রিসুক্তে কালী, শ্রীসুক্তে লক্ষ্মী এবং বাণীসুক্তে সরস্বতীর বন্দনা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, বেদ দেবতাদের মহিমাতে রূপ ও পূজাপদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। আর বেদকে স্বীকার করলে পুরাণকেও স্বীকার করতে হবে। কারণ, বেদ এবং বেদান্ত নিজেই পুরাণকে স্বীকার করেছে।
যেমন- ছান্দোগ্য উপনিষদ বলছে-‘ইতিহাস ও পুরাণসমূহ হলো পঞ্চম বেদ। আবার, অথর্ববেদ বলছে ‘ইতহাসস্য চ বৈ পুরাণস্য চ....চ’। যেহেতু বেদ পুরাণকে শাস্ত্র বলে স্বীকার করেছে, তাই পুরাণ মতেই দেবী দুর্গার রূপ ও পূজাপদ্ধতি প্রণীত হয়েছে। যাহোক, আবারো আমরা বৈদিক ধারায় ফিরে আসি। শুক্ল যর্জুবেদের বাজসনেয়ী সংহিতায় অম্বিকাদেবীর সাংখ্যায়ন গৃহ্যসূত্রে ভদ্রকালীর, কেন উপনিষদে দেবী উমার কথা পাই যারা দেবী দুর্গারই অপর নাম।
durga puja
যাজ্ঞিকা উপনিষদে দুর্গার গায়ত্রী আছে- ‘কাত্যায়নার বিমতে কন্যাকুমারীং ধীমহি তন্নো দুর্গি প্রচোদয়াৎ।’ এখানে দুর্গা সম্বোধনপদে দুর্গি হয়েছে। এতে কাত্যায়নী বা কন্যাকুমারী দুর্গার অপর নাম তা সকলেই জানে। এছাড়া গোপাল তাপনী উপনিষদ, নারায়ণ উপনিষদ ইত্যাদি বৈদিক গ্রন্থে দুর্গার উল্লেখ আছে।
আসলে যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০, মন্ত্র ৯ প্রকৃত মন্ত্রে শামমূর্তি বলে কিছু নাই, আছে সম্ভুতি যেটাকে উনারা শামমূর্তি বলেছেন। সম্ভুতি অর্থটা যে শামমূর্তি, অসম্ভুতির অর্থ যে প্রাকৃতিক বস্তু এটাও পুরোপুরি সঠিক নয়, হ্যাঁ, কেউ কেউ এইরকম অর্থ করেছেন সবাই না। সম্ভূতি মানে সৃষ্টি, যেমন আমরা বলি সজ্ঞানসম্ভুত মানে সজ্ঞানে সৃষ্ট তাহলে অসম্ভুতির মানে ঠিক তার উল্টো, অর্থাৎ বিনাশ। ৯ নং মন্ত্রে বলেছে যারা শুধুমাত্র অসম্ভুতি কিংবা সম্ভুতির পূজা করে, তারাই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। ১০ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, কারণ দুই রকম উপাসনার ফল ভিন্ন। ১১ নং মন্ত্রে যারা সম্ভুতি ও অসম্ভুতিকে একত্রে উপাসনা করে, তাদের সফলতার কথাই বলা হয়েছে। আমরা যদি এক্ষেত্রে সম্ভুতির অর্থ মূর্তিপুজাও ধরি, ১১ নং মন্ত্রে মূর্তিপুজাই করতে বলা হয়েছে।
ReplyDeleteন তস্য প্রতিমা অস্তি যশ্য নাম মহদ্যশঃ।
ReplyDeleteহিরণ্যগর্ভ ইত্যেষ মা মা হিংসীদিত্যেষা যস্মান্ন জাত ইত্যেষঃ।। (যজর্বেদ ৩২/৩)
বাংলা অর্থঃ
উনার তুলনীয় কেউ নেই। তার মহৎ যশ আছে। 'হিরণ্যগর্ভ' ইত্যাদি, 'আমার প্রতি আসূয়া পরায়ণ হয়ো না', 'যা থেকে ইন্দ্র প্রভৃতি জাত, তিনি স্বরাট' ইত্যাদি বাক্যে সে পুরুষকে বলা হয়েছে।
এখানে এগুলো বলে পরমেশ্বরের প্রশংসা করা হয়েছে।
কিন্তু মূর্খের দল এটা উল্টাপাল্টা ব্যাখ্যা অনুবাদ শুরু করেছে।আরে মূর্খ সংস্কৃত আর বাংলা এক না।
প্রতিমা মানে হলো তুলনীয়।যেমন, ভ্রাতৃপ্রতিম,এখানে প্রতিম দ্বারা মত বুঝায় ভাইয়ের মত।ঠিক তেমনি প্রতিমা মানে তুলনীয়।তেমনি বাংলায় লিঙ্গ মানে পুরুষাঙ্গ বুঝালেও সংস্কৃতে "লিঙ্গ" মানে প্রতীক।
একজন কি করে পুরো শ্লোকটা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র কিছু অংশ তুলে ধরে নিজেকে একজন ধর্মীয় শিক্ষাগুরু হিসেবে প্রচার করতে পারেন। এটা কি তার মূর্খতা, না তার চতুরতা এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের বিবেচক এবং বুদ্ধিমান পাঠকদের ওপর ছেড়ে দিলাম।
কামৈস্তৈস্তৈর্হৃতজ্ঞানাঃ প্রপদ্যন্তেহন্যদেবতাঃ।
ReplyDeleteতং তং নিয়মমাস্থায় প্রকৃত্যা নিয়তাঃ স্বয়া।।২০।।
অনুবাদঃ জড় কামনা-বাসনার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে, তারা অন্য দেব-দেবীর শরণাগত হয় এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে বিশেষ নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপাসনা করে।
যো যো যাং তনুং ভক্তঃ শ্রদ্ধয়ার্চিতুমিচ্ছতি।
তস্য তস্যাচলাং শ্রদ্ধাং তামেব বিদধাম্যহম্।।২১।।
অনুবাদঃ পরমাত্মরূপে আমি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করি। যখনই কেউ দেবতাদের পূজা করতে ইচ্ছা করে, তখনই আমি সেই সেই ভক্তের তাতেই অচলা শ্রদ্ধা বিধান করি।
স তয়া শ্রদ্ধয়া যুক্তস্তস্যারাধনমীহতে।
লভতে চ ততঃ কামান্ময়ৈব বিহিতান্ হি তান্।।২২।।
অনুবাদঃ সেই ব্যক্তি শ্রদ্ধাযুক্ত হয়ে সেই দেবতার আরাধনা করেন এবং সেই দেবতার কাছ থেকেই আমারই দ্বারা বিহিত কাম্য বস্তু অবশ্যই লাভ করেন।
দেখুন ২০ নং অনুচ্ছেদে মূর্তিপুজার কথা নেই, আছে দেবোপসনার কথা, এখানে নিষিদ্ধ করা হয় নি, অনুৎসাহিত করা হয়েছে মাত্র। কিন্তু ২১ ও ২২ নং মন্ত্রেই দেবোপসনা বা তাদের ভাষায় যেটা মূর্তিপুজা, তার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গীতা ১২ অধ্যায় ভক্তিযোগে ঈশ্বর/ভগবান নিজে মূর্তিপুজার অনুমতি দিয়েছেন।
অর্জুন উবাচ
এবং সততযুক্তা যে ভক্তাস্ত্বাং পর্যুপাসতে।
যে চাপ্যক্ষরমব্যক্তং তেষাং কে যোগবিত্তমাঃ।।১।।
অনুবাদঃ অর্জুন জিজ্ঞাসা করলেন-এভাবেই নিরন্তর ভক্তিযুক্ত হয়ে যে সমস্ত ভক্তেরা যথাযথভাবে তোমার আরাধনা করেন এবং যাঁরা ইন্দ্রিয়াতীত অব্যক্ত ব্রহ্মের উপাসনা করেন, তাঁদের মধ্যে কারা শ্রেষ্ঠ যোগী।
শ্রীভগবানুবাচ
ময্যাবেশ্য মনো যে মাং নিত্যযুুক্তা উপাসতে।
শ্রদ্ধয়া পরয়োপেতাস্তে মে যুক্ততমা মতাঃ।।২।।
অনুবাদঃ শ্রীভগবান বললেন-যাঁরা তাঁদের মনকে আমার সবিশেষ রূপে নিবিষ্ট করনে এবং অপ্রাকৃত শ্রদ্ধা সহকারে নিরন্তর আমার উপাসনা করেন, আমার মতে তাঁরাই সর্বশ্রেষ্ঠ যোগী।
যে ত্বক্ষরমনির্দেশ্যমব্যক্তং পর্যুপাসতে।
সর্বত্রগমচিন্ত্যং চ কূটস্থমচলং ধ্রুবম্।।৩।।
সংনিয়ম্যেন্দ্রিয়প্রামং সর্বত্র সমবুদ্ধয়ঃ।
তে প্রাপ্নুবন্তি মামেব সর্বভূতহিতে রতাঃ।।৪।।
অনুবাদঃ যাঁরা সমস্ত ইন্দ্রিয় সংযত করে, সকলের প্রতি সমভাবাপন্ন হয়ে এবং সর্বভূতের কল্যাণে রত হয়ে আমার অক্ষর, অনির্দেশ্য, অব্যক্ত, সর্বত্রগ, অচিন্ত্য, কুটস্থ, অচল, ধ্রুব ও নির্বিশেষ স্বরূপকে উপাসনা করেন, তাঁরা অবশেষে আমকেই প্রাপ্ত হন।
ক্লেশোহধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্।
অব্যক্তা হি গতির্দুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে।।৫।।
অনুবাদঃ যাদের মন ভগবানের অব্যক্ত নির্বিশেষ রূপের প্রতি আসক্ত, তাদের ক্লেশ অধিকতর। কারণ, অব্যক্তের উপাসনার ফলে দেহধারী জীবদের কেবল দুঃখই লাভ হয়।
এই সবিশেষ রূপই হলো ঈশ্বরের বিভিন্ন সাকার রূপ বা দেবদেবী।
এরা ভন্ডামির সুবিধার্থে আগের মন্ত্র পরের মন্ত্র বাদ দিয়ে প্রত্যেকটা মন্ত্রের আংশিক অর্থ উপস্থাপন করছে, যেটা এই পোস্টের অন্য কমেন্টগুলোতে আলোচনা করেছি। এখন পোস্টকারীর কাছে প্রশ্ন, আপনার ধর্মে কালিমা তায়্যেবা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ থেকে ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ বাদ দিয়ে শুধু লা ইলাহা বললে যেটা দ্বারায়, কোনো উপাস্য নেই, আপনি কি এটা মেনে নিবেন? অযথা অন্যধর্ম নিয়ে কেন মিথ্যাচার করেন তাহলে? আপনার বিবেক থাকলে করতে পারতেন না এসব।
ReplyDeleteআপনি বলেন পুরো মন্ত্র
Delete৪. আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিথ্যাচার হলো গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩
ReplyDelete[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনাকরে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
জবাবঃ
আমরা দেখবো আসলে গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩ এ কি বলা হয়েছে
যো মামজমনাদিং চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম্।
অসংমূঢ়ঃ স মর্ত্যেষু সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে।।৩।।
অনুবাদঃ যিনি আমাকে জন্মরহিত, অনাদি ও সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, তিনিই কেবল মানুষদের মধ্যে মোহশূন্য হয়ে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।
৫. ভূয়া, বানোয়াট তথ্যঃ
বেদের ব্রহ্ম সুত্র তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই ।
জবাবঃ
ব্রহ্ম সুত্র বেদের নয়।ব্রহ্ম সুত্র উপনিষদ দর্শনের ব্যাখ্যা।
৬. ভূয়া,মিথ্যা তথ্যঃ
“সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ২ঃ৪৫ঃ১৬)
জবাবঃ
ঋগ্বেদের ২য় মন্ডলে আছেই ৪৩টা সূক্ত।সেখানে ৪৫সূক্তেরসূক্তের ১৬নং ঋক কোথা থেকে আসলো??
৭. ভূয়া ব্যাখ্যাঃ
“একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ১ঃ২ঃ৩) ।
জবাবঃ
ঋগ্বেদের ১ম মন্ডলের ২য় সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া গেলো এই মন্ত্রটি,
ঋষি,মধুচ্ছন্দা।ছন্দ,গায়েত্রী।
বয়ো তব প্রপৃঞ্চতী ধেনা জিগাতী দাশুষে।উরুচী সোমপীতয়ে।।(ঋগ্বেদ ১/২/৩)📖
অর্থঃ
হে বায়ু, তোমার সোমগুণ প্রকাশক বাক্য সোম পানর্থে হব্যদাতা যজমানের নিকট আসছে,অনেকের নিকট আসছে।
*সোমরস-এক ধরণের লতার রস,যা ঘৃতের মত দেবতাদের নিকট প্রিয় পানীয়।
৮. মিথ্যা তথ্যঃ
“এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ১০ঃ১২১ঃ৩) ।জবাবঃ
ঋগ্বেদের ১০ম মন্ডলের ১২১সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া যায় এই মন্ত্রটি,
ঋষি-হিরণ্যগর্ভ। ছন্দ-ত্রিষ্টুপ্।
যঃ প্রাণতো নিমিষতো মহিত্বৈক ইদ্রজা জগতো বভূব।
য ঈশে অস্য দ্বিপদশ্চতুষ্পদঃ কস্মৈ দেবায় হবিষা বিধেম।।(ঋগ্বেদ,১০/১২১/৩)📖
অর্থঃ
যিনি নিজ মহিমা দ্বারা যাবতীয় দর্শননেন্দ্রিয়সম্পন্ন গতিশক্তিযুক্ত জীবদের অদ্বিতীয় রাজা হয়েছেন,যিনি এ সকল দ্বিপদ চতুষ্পদের প্রভু।আমরা উপসনায় কি নৈবেদ্য দেবো?
শ্রি শ্রি রবি শংকর কে কি আপনি চিচেন? যদি চিনে থাকেন তাহলে তার সাথে ডা জাকির নায়েকের ডিবেট টা দেখেন। তাহলে বুঝতে পারবেন। আমি মনে করি আপনি অর্থের বিকৄতি করছেন।
DeleteBika
ReplyDeleteমুক্তি পূজারীদের স্থান হল জাহান্নাম
ReplyDeleteIi is right.but no one believe this
ReplyDelete