জাকির
নায়েকসহ ইসলামিক ও অন্যান্য ধর্মের অনেক অপপ্রচারকারীরাই নিজেদেরকে
বাঁচানোর জন্য দাবী করে যে হিন্দুধর্মে বহুবিবাহ অনুমোদিত।এর মাধ্যমে তাদের
নিজেদের ধর্মগুলোতে বহুবিবাহের অনুমোদনের পক্ষে একটি সমর্থন পাওয়ার ব্যর্থ
চেষ্টা চালায় তারা।প্রকৃত সত্য দেখে নেয়া যাক।
ঋগবেদ এর তিনটি মন্ত্র যথাক্রমে ১.২৪.৭,৪.৩.২ ও ১০.৭১.৪ এ বলা হয়েছে "যায়েব পত্য উষতে সুভাসহ অর্থাত্ যেভাবে জ্ঞানীগন জ্ঞানপ্রাপ্ত হন ঠিক সেভাবে একক পতি-পত্নীযুক্ত সংসার আনন্দ ও সুখ লাভ করে।
ঋগবেদ ১০.৮৫.২৩ এ বলা হয়েছে স্বামী ও স্ত্রীর সবসময় উচিত পুনরায় বিয়ে না করার ব্যপারে সংযমী হওয়া।
অথর্ববেদ ৭.৩৮.৪ বলেছে "স্বামীর উচিত শুধু একমাত্র স্ত্রীর প্রতি অনুরক্ত থাকা।দ্বিতীয় কোন নারীর প্রতি অনুরাগ তো দুরে থাক,অন্যকোন নারী সম্বন্ধে তার আলোচনাও করা উচিত নয়।"
বহুবিবাহ নিষিদ্ধের এর চেয়ে স্পষ্ট নিদর্শন আর কি থাকতে পারে!
ঋগবেদ ১০.১০৫.৮ বলেছে যে একাধিক স্ত্রীর অস্তিত্ব মানেই জাগতিক সকল দুঃখের আনায়ন।
ঋগবেদ ১০.১০১.১১ বলেছে দুই স্ত্রীযুক্ত ব্যক্তিকে সেভাবেই কাঁদতে হয় ঠিক যেভাবে চলমান রথের ঘোড়া উভয় দিক থেকে চাবুক এর আঘাতে হ্রেষা রব করে!
ঋগবেদ ১০.১০১.১১ এও বলেছে যে একাধিক স্ত্রী জীবনকে লক্ষহীন করে তোলে।
অথর্ববেদ ৩.১৮.২ বলেছে একজন নারীর কখনো যেন কোন সতীন(Co-wife) না হয়।
এখন আসা যাক জাকির নায়েক এর দ্বিতীয় ভন্ডামী যুক্তি যা তিনি দিয়েছেন যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ ও অতুলনীয় শ্রীরামচন্দ্রকে নিয়ে।তিনি দাবী করেছেন যে মহাভারত অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের স্ত্রীসংখ্যা নাকি ১৬১০৮ এবং শ্রীকৃষ্ণ যদি বহুবিবাহ করতে পারে তাহলে সাধারন হিন্দুদের সমস্যা কি!
উত্তরে বলা যেতে পারে যে সব জায়গায় ইসলামিক তাকিয়ার ভন্ডামী চলেনা জাকির সাহেব!শ্রীকৃষ্ণের বহুবিবাহের এই ভূল তথ্যটি পাওয়া যায় দুইভাই জয়দেব এর লেখা গীতগোবিন্দ ও বোপদেব এর লেখা ভাগবতাম নামক একটি গ্রন্থে যা কোনভাবেই বৈদিক কোন গ্রন্থ নয় এবং শ্রীকৃষ্ণের জীবনী সম্বন্ধে একমাত্র গ্রহনযোগ্য গ্রন্থ ব্যসদেব এর মহাভারত।সেই ব্যসদেব মহাভারতে তাঁর সম্বন্ধে কি লেখা আছে দেখা যাক-
"শ্রীকৃষ্ণের একমাত্র স্ত্রী ছিলেন রুক্সিনীদেবী যিনি ছিলেন পরম ধার্মিক,বিদূষী ও পতিব্রতা।সন্তান জন্মদানের পূর্বে তাঁরা উভয়েই বদরিকাশ্রমে যান ও দীর্ঘ বারবছর কঠোর ব্রহ্মচর্য পালন করেন।এরপর রুক্সিনীদেবী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন যার নাম রাখা হয় প্রদ্যুম্ন।"
[ব্যসকৃত মহাভারত,সৌপ্তিকাপর্ব, ২/২৯-৩০,তথ্যসূত্র- শ্রীকৃষ্ণের জীবনী নিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর ৩৬ বছরের সুদীর্ঘ গবেষনালব্ধ ফলাফল]
এখন আসা যাক শ্রীরামচন্দ্রের ব্যপারে তার দাবী নিয়ে।অজ্ঞ জাকির দাবী করেছেন যে যেহেতু শ্রীরামচন্দ্রের পিতা রাজা দশরথ চারটি বিয়ে করেছিলেন সেহেতু হিন্দুধর্মে চারটি বিয়ে অনুমোদিত!এক্ষনে প্রমানিত হল যে হিন্দুধর্ম সম্বন্ধে জাকিরের নূন্যতম জ্ঞান ও নেই!
রামায়ন ও মহাভারতকে বলা হয় হিন্দুধর্মের প্রামান্য ধর্মশাস্ত্র অর্থাত্ এই দুটি শাস্ত্রে বর্ণিত ঘটনা ও তাদের ফলাফলগুলোকে পর্যবেক্ষন করে একজন হিন্দু তার জীবনবিধি সম্বন্ধে দিকনির্দেশনা পেতে পারে।বেদে যেসকল জীবনবিধি দেয়া হয়েছে সেগুলো মানা বা না মানার বাস্তব ফলাফল প্রতিফলিত হয়েছে এই গ্রন্থ দুটিতে।
রাজা দশরথের ক্ষেত্রে কি দেখতে পাই?অলঙ্ঘনীয় বেদ নির্দেশিত এককবিবাহ না মেনে তিনি একাধিক বিয়ে করেন আর ফলশ্রুতিতে দুঃখময় অকালমৃত্যু,ছেলের বনবাস,রাজ্যময় শোক এর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।এ থেকে একজন হিন্দু বুঝতে পারেন যে বেদে বহুবিবাহের নিষেধাজ্ঞা কতটা যুক্তিসংগত!
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে আপনারা সকলেই জানেন যে বহুবিবাহের ক্ষতিকর দিকের শেষ নেই।জনসংখ্যা বিস্ফোরন, সামাজিক বিশৃঙ্খলা,সেক্স ট্রান্সমিটেড ও কমুনিকেবল ডিসিস এর প্রাদুর্ভাবসহ অসংখ্য ক্ষতিকর প্রভাব আছে এর।বর্তমান যুগে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা রোধে যেখানে সভ্য দেশগুলো বহুবিবাহকে নিরুত্সাহিত করছে সেখানে এইসব অজ্ঞ ও উগ্র ধর্মান্ধরা তাদের মধ্যযুগীয় এ বর্বর সভ্যতাকে অন্যদের উপর চাপানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে!
ভারত সরকার এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ১৯৫৪ সালে আইন করে হিন্দুদের বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করে।
সুতরাং এইসব ভন্ডদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান।ছড়িয়ে দিন বৈদিক সত্যের এই বানীকে।
ঋগবেদ এর তিনটি মন্ত্র যথাক্রমে ১.২৪.৭,৪.৩.২ ও ১০.৭১.৪ এ বলা হয়েছে "যায়েব পত্য উষতে সুভাসহ অর্থাত্ যেভাবে জ্ঞানীগন জ্ঞানপ্রাপ্ত হন ঠিক সেভাবে একক পতি-পত্নীযুক্ত সংসার আনন্দ ও সুখ লাভ করে।
ঋগবেদ ১০.৮৫.২৩ এ বলা হয়েছে স্বামী ও স্ত্রীর সবসময় উচিত পুনরায় বিয়ে না করার ব্যপারে সংযমী হওয়া।
অথর্ববেদ ৭.৩৮.৪ বলেছে "স্বামীর উচিত শুধু একমাত্র স্ত্রীর প্রতি অনুরক্ত থাকা।দ্বিতীয় কোন নারীর প্রতি অনুরাগ তো দুরে থাক,অন্যকোন নারী সম্বন্ধে তার আলোচনাও করা উচিত নয়।"
বহুবিবাহ নিষিদ্ধের এর চেয়ে স্পষ্ট নিদর্শন আর কি থাকতে পারে!
ঋগবেদ ১০.১০৫.৮ বলেছে যে একাধিক স্ত্রীর অস্তিত্ব মানেই জাগতিক সকল দুঃখের আনায়ন।
ঋগবেদ ১০.১০১.১১ বলেছে দুই স্ত্রীযুক্ত ব্যক্তিকে সেভাবেই কাঁদতে হয় ঠিক যেভাবে চলমান রথের ঘোড়া উভয় দিক থেকে চাবুক এর আঘাতে হ্রেষা রব করে!
ঋগবেদ ১০.১০১.১১ এও বলেছে যে একাধিক স্ত্রী জীবনকে লক্ষহীন করে তোলে।
অথর্ববেদ ৩.১৮.২ বলেছে একজন নারীর কখনো যেন কোন সতীন(Co-wife) না হয়।
এখন আসা যাক জাকির নায়েক এর দ্বিতীয় ভন্ডামী যুক্তি যা তিনি দিয়েছেন যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ ও অতুলনীয় শ্রীরামচন্দ্রকে নিয়ে।তিনি দাবী করেছেন যে মহাভারত অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের স্ত্রীসংখ্যা নাকি ১৬১০৮ এবং শ্রীকৃষ্ণ যদি বহুবিবাহ করতে পারে তাহলে সাধারন হিন্দুদের সমস্যা কি!
উত্তরে বলা যেতে পারে যে সব জায়গায় ইসলামিক তাকিয়ার ভন্ডামী চলেনা জাকির সাহেব!শ্রীকৃষ্ণের বহুবিবাহের এই ভূল তথ্যটি পাওয়া যায় দুইভাই জয়দেব এর লেখা গীতগোবিন্দ ও বোপদেব এর লেখা ভাগবতাম নামক একটি গ্রন্থে যা কোনভাবেই বৈদিক কোন গ্রন্থ নয় এবং শ্রীকৃষ্ণের জীবনী সম্বন্ধে একমাত্র গ্রহনযোগ্য গ্রন্থ ব্যসদেব এর মহাভারত।সেই ব্যসদেব মহাভারতে তাঁর সম্বন্ধে কি লেখা আছে দেখা যাক-
"শ্রীকৃষ্ণের একমাত্র স্ত্রী ছিলেন রুক্সিনীদেবী যিনি ছিলেন পরম ধার্মিক,বিদূষী ও পতিব্রতা।সন্তান জন্মদানের পূর্বে তাঁরা উভয়েই বদরিকাশ্রমে যান ও দীর্ঘ বারবছর কঠোর ব্রহ্মচর্য পালন করেন।এরপর রুক্সিনীদেবী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন যার নাম রাখা হয় প্রদ্যুম্ন।"
[ব্যসকৃত মহাভারত,সৌপ্তিকাপর্ব, ২/২৯-৩০,তথ্যসূত্র- শ্রীকৃষ্ণের জীবনী নিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর ৩৬ বছরের সুদীর্ঘ গবেষনালব্ধ ফলাফল]
এখন আসা যাক শ্রীরামচন্দ্রের ব্যপারে তার দাবী নিয়ে।অজ্ঞ জাকির দাবী করেছেন যে যেহেতু শ্রীরামচন্দ্রের পিতা রাজা দশরথ চারটি বিয়ে করেছিলেন সেহেতু হিন্দুধর্মে চারটি বিয়ে অনুমোদিত!এক্ষনে প্রমানিত হল যে হিন্দুধর্ম সম্বন্ধে জাকিরের নূন্যতম জ্ঞান ও নেই!
রামায়ন ও মহাভারতকে বলা হয় হিন্দুধর্মের প্রামান্য ধর্মশাস্ত্র অর্থাত্ এই দুটি শাস্ত্রে বর্ণিত ঘটনা ও তাদের ফলাফলগুলোকে পর্যবেক্ষন করে একজন হিন্দু তার জীবনবিধি সম্বন্ধে দিকনির্দেশনা পেতে পারে।বেদে যেসকল জীবনবিধি দেয়া হয়েছে সেগুলো মানা বা না মানার বাস্তব ফলাফল প্রতিফলিত হয়েছে এই গ্রন্থ দুটিতে।
রাজা দশরথের ক্ষেত্রে কি দেখতে পাই?অলঙ্ঘনীয় বেদ নির্দেশিত এককবিবাহ না মেনে তিনি একাধিক বিয়ে করেন আর ফলশ্রুতিতে দুঃখময় অকালমৃত্যু,ছেলের বনবাস,রাজ্যময় শোক এর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।এ থেকে একজন হিন্দু বুঝতে পারেন যে বেদে বহুবিবাহের নিষেধাজ্ঞা কতটা যুক্তিসংগত!
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে আপনারা সকলেই জানেন যে বহুবিবাহের ক্ষতিকর দিকের শেষ নেই।জনসংখ্যা বিস্ফোরন, সামাজিক বিশৃঙ্খলা,সেক্স ট্রান্সমিটেড ও কমুনিকেবল ডিসিস এর প্রাদুর্ভাবসহ অসংখ্য ক্ষতিকর প্রভাব আছে এর।বর্তমান যুগে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা রোধে যেখানে সভ্য দেশগুলো বহুবিবাহকে নিরুত্সাহিত করছে সেখানে এইসব অজ্ঞ ও উগ্র ধর্মান্ধরা তাদের মধ্যযুগীয় এ বর্বর সভ্যতাকে অন্যদের উপর চাপানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে!
ভারত সরকার এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ১৯৫৪ সালে আইন করে হিন্দুদের বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করে।
সুতরাং এইসব ভন্ডদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান।ছড়িয়ে দিন বৈদিক সত্যের এই বানীকে।
Post a Comment