'নিষ্কাম'
শব্দের ব্যখ্যাটি আমাদের সবার জানা দরকার।ইসকনিস্ট বা বৈষ্ণবরা নিষ্কাম
কর্ম বলে বলে মুখে ফেনা তোলে।তারা এ ও দাবী করে যে বেদ সকাম কর্মের কথা
বলে এবং গীতা নিষ্কাম কর্মের কথা বলে। সকলেই একটু ভাবুন তো এ পৃথিবীতে
উদ্দেশ্য বা কাম ব্যতীত কি কোন কাজ সম্ভব?মোক্ষলাভের উদ্দেশ্যে ভগবানকে
ভক্তিও কি একটা কাম নয়?
এ উদ্দেশ্যে মহর্ষি মনু হিন্দু আইনশাস্ত্র মনুসংহিতায় বলেছে বলেছেন,
"অকামস্য ক্রিয়া কাচিদ্দৃশ্যতে নেহ কর্মিচিত্"
(মনুসংহিতা ২.৪)
অর্থাত্ এ পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত যত কর্ম সম্পাদিত হয়েছে তার কোনটিই নিষ্কাম নয় এবং তা সম্ভব ও নয়।
তাহলে গীতার নিষ্কাম কর্ম কি ভিত্তিহীন?না তা নয়।গীতার নিষ্কাম কর্ম প্রকৃতপক্ষে সত্ত্বকাম কর্ম।জগতের কল্যানসাধন,সত্ ও মহত্ উদ্দেশ্যে কৃত কর্ম এসব ই সত্ত্বকাম অর্থাত্ সাত্ত্বিক উদ্দেশ্যযুক্ত বা গীতার ভাষায় নিষ্কাম কর্ম বলে কথিত।পন্ডিত দেবীচাঁদ তাঁর যজুর্বেদ অনুবাদেই দেখিয়েছেন সেখানে ৩৭১টি মন্ত্র এককভাবে নিষ্কাম কর্মের কথা বলেছে এবং পুরো গীতাতেও ততগুলো শ্লোক নেই নিষ্কাম কর্মের উপর।আর চারবেদ মিলিয়ে দেখলে সেখানে নিষ্কাম কর্মভিত্তিক মোট মন্ত্রের সংখ্যা কমপক্ষে গীতার দ্বিগুন হবে।সুতরাং না জেনে কোনভাবেই "বেদ সকাম কর্মভিত্তিক" এমনটা বলা ঠিক নয়।
Collected.....
এ উদ্দেশ্যে মহর্ষি মনু হিন্দু আইনশাস্ত্র মনুসংহিতায় বলেছে বলেছেন,
"অকামস্য ক্রিয়া কাচিদ্দৃশ্যতে নেহ কর্মিচিত্"
(মনুসংহিতা ২.৪)
অর্থাত্ এ পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত যত কর্ম সম্পাদিত হয়েছে তার কোনটিই নিষ্কাম নয় এবং তা সম্ভব ও নয়।
তাহলে গীতার নিষ্কাম কর্ম কি ভিত্তিহীন?না তা নয়।গীতার নিষ্কাম কর্ম প্রকৃতপক্ষে সত্ত্বকাম কর্ম।জগতের কল্যানসাধন,সত্ ও মহত্ উদ্দেশ্যে কৃত কর্ম এসব ই সত্ত্বকাম অর্থাত্ সাত্ত্বিক উদ্দেশ্যযুক্ত বা গীতার ভাষায় নিষ্কাম কর্ম বলে কথিত।পন্ডিত দেবীচাঁদ তাঁর যজুর্বেদ অনুবাদেই দেখিয়েছেন সেখানে ৩৭১টি মন্ত্র এককভাবে নিষ্কাম কর্মের কথা বলেছে এবং পুরো গীতাতেও ততগুলো শ্লোক নেই নিষ্কাম কর্মের উপর।আর চারবেদ মিলিয়ে দেখলে সেখানে নিষ্কাম কর্মভিত্তিক মোট মন্ত্রের সংখ্যা কমপক্ষে গীতার দ্বিগুন হবে।সুতরাং না জেনে কোনভাবেই "বেদ সকাম কর্মভিত্তিক" এমনটা বলা ঠিক নয়।
Collected.....
Post a Comment