Ads (728x90)

SRI SRI THAKUR VIDEO

Like this page

Recent Posts

World time

Add as a follower to automatically get updated Article. Jaiguru!

অপৌরুষেয় এবং স্বতঃপ্রমানেয় পবিত্র বেদ সনাতন শাস্ত্রসমূহতে 'অলঙ্ঘনীয় শ্রুতি' বলে খ্যত।অন্যান্য সকল শাস্ত্রের সাথে বেদ এর পার্থক্য এই যে বেদ এর কোন উত্‍পত্তিও নেই এবং বিনাশ ও নেই ও এটি যে কোন প্রকার ত্রুটিমুক্ত।অপরদিকে অন্য যে কোন গ্রন্থ ই তাদের প্রামান্যতার জন্য বেদ এর উপর নির্ভরশীল অর্থাত্‍ পরার্থপ্রমানেয় এবং ওইসব গ্রন্থ মনুষ্যসৃষ্ট বলে ত্রুটিমুক্ত নয় ও সময়ের পরিবর্তনে সেগুলো নানা ঘাত-প্রতিঘাতে বিকৃত বা পরিবর্তিত হয়ে পড়ে।তাই অনেকসময় দেখা যায় পুরান প্রভৃতি গ্রন্থের মধ্যেকার বিভিন্ন অসংগতির কারনে সাধারন হিন্দুদের বিব্রত হতে হয় আর এসব নিয়ে অন্য ধর্মালম্বী ও নাস্তিকদের প্রচারনা তো আছেই।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ নিয়ে বিব্রত হবার কিছু নেই কেননা বেদ ভিন্ন পৃথিবীর অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ ই নির্ভুল নয় এবং আগেই বলা হয়েছে সেগুলো কালের পরিবর্তনে পরিবর্তিত হয়।বেদ ছাড়া অন্য কোন গ্রন্থ ই অনুশাসন হিসেবে গ্রহনযোগ্য নয় বরং শুধুমাত্র সহায়িকা হিসেবে পঠনীয় তবে ওইসব গ্রন্থের যেকোন অংশ বেদ এর সাথে সাংঘর্ষিক হলে তা তাত্‍ক্ষনিকভাবে বর্জনীয়।এই বিষয়ে হিন্দু আইন ও নীতিশাস্ত্র মনুসংহিতায়(The law of Manu) রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা।একনজরে দেখা নেয়া যাক মানবজাতির পিতা মহর্ষি মনুর দেয়া নির্দেশিকাসমূহ-

অর্থকামেন্বসক্তানাং ধর্মজ্ঞানং বিধীয়তে।
ধর্মং জিজ্ঞাসমানানাং প্রমাণং পরমং শ্রুতিঃ।।

মনুসংহিতা ২.১৩

অনুবাদ-যারা অর্থ ও কামে আসক্ত নন,ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান তাঁদেরই হয় আর ধর্মজিজ্ঞাসু ব্যক্তিগনের কাছে বেদ ই প্রকৃষ্ট প্রমান;যেখানে শ্রুতি ও স্মৃতির মধ্যে বিরোধ উপস্থিত হবে,সেখানে শ্রুতির মত ই গ্রাহ্য।

এ বিষয়ে ঋষি যাজ্ঞবল্ক্যের যাজ্ঞবল্ক্য সুত্রে বলা হয়েছে,
"স্মৃতি শ্রুতি বিবাদেন,শ্রুতিরেব গরিয়সী" অর্থাত্‍ শ্রুতির সাথে স্মৃতি সাংঘর্ষিক হলে শ্রুতির মত ই গরিয়সী হিসেবে প্রাধান্য পাবে এবং ওইক্ষেত্রে স্মৃতি বর্জনীয় হবে।একই কথা বলে গেছেন জাবাল মুনিও।

মা বেদবাহ্যাঃ স্মৃতয়ো যাশ্চ কাশ্চ কুদৃষ্টয়ঃ।
সর্বাস্তা নিস্ফলাঃ প্রেত্য তমোনিষ্ঠা হি তাঃ স্মৃতাঃ।।

মনুসংহিতা ১২.৯৫

অনুবাদ-বেদবাহ্য অর্থাত্‍ বেদবিরুদ্ধ যে সব স্মৃতি আছে এবং যেসব শাস্ত্র কুদৃষ্টিমূলক অর্থাত্‍ যাতে অসত্‍,অশ্লীল ও নীতিহীন মতবাদসমূহ আছে সেগুলো শেষ পর্যন্ত প্রতিপাদিত যুক্তি ও দৃষ্টান্ত দ্বারা নিপুনভাবে পরীক্ষিত হয়ে ভূল বলে প্রতিভাত হলে তমোনিষ্ঠ বলে কথিত হয়।

বেদভিন্ন সব শাস্ত্রই একটা নির্দিষ্ট সময়ে উত্‍পন্ন হয় এবং বিনাশও প্রাপ্ত হয়।

উত্‍পদ্যন্তে চ্যবন্তে চ যান্যতোহন্যানি কানিচিত্‍।
তান্যর্বাক্কালিকতয়া নিস্ফলান্যনৃতানি চ।।

মনুসংহিতা ১২.৯৬

অনুবাদ-বেদ ভিন্ন অন্যান্য যে কোন গ্রন্থ ই কোন মানুষ কর্তৃক রচিত ও তা বিনাশ ও প্রাপ্ত হয় তাই অনিত্য।এজন্যই সেগুলো কোনভাবেই অনুশাসন হিসেবে গ্রহনীয় নয়।

আর উপরোক্ত সবগুলো কথা ই বর্তমানে প্রমানিত।রামায়ন, মহাভারত আজ পরিবর্তিত,পরিবর্ধিত।১৮টি ভ্রান্ত গ্রন্থ যা নানা ভুল ও অসংগতিতে ভরা সেগুলো পুরান নামে স্বীকৃত যার অধিকাংশ কথা ই বেদবিরোধী।বেদভিত্তিক সমাজ থেকে সরে যাবার কারনেই আজ হিন্দুদের এই দুরবস্থা।বেদবিরুদ্ধ গ্রন্থ অনুসরনের ফলেই হিন্দুসমাজে এসেছিল সতীদাহ,জন্মভিত্তিক বর্নপ্রথা,অস্পৃশ্যতাসহ নানা কুসংস্কার।তাই আমাদের ফিরে যেতে হবে বেদ এর পথে,বেদ এর আহবানকৃত সাম্যের পথে। তাহলেই ধরনী হয়ে উঠবে স্বর্গরুপ,আমরা সন্ধান পাব পুরুষার্থ সাধনের পরমোপায়।এজন্যই মহর্ষি মনুর সেই উদাত্ত কন্ঠের ঘোষনা-

বিভর্তি সর্বভূতানি বেদশাস্ত্রং সনাতনম্।
তস্মাদেতং পরং মন্যে যজ্জন্তোরস্য সাধনম্।।

মনুসংহিতা ১২.৯৯

অনুবাদ-সনাতন বেদ ই একমাত্র সকল প্রাণীকে ধারন করেছে।সেই বেদ ই সর্বশ্রেষ্ঠ কেননা বেদই জীবের সুখদুঃখের সাধন নির্দেশ করে আর এই বেদ ই পুরুষার্থ সাধনের পরমোপায়!


Collected.....

Post a Comment