আজকাল
অনেকক্ষেত্রেই একটা চালাকি লক্ষ্য করা যায়।বিভিন্ন হিন্দুধর্মীয় শাখা
অনুসারিত ব্লগ,পেইজগুলোতে তাদের নিজস্ব মান্য পুরানসমূহের কথাগুলোকে সাধারন
হিন্দুদের বিশ্বাসযোগ্য করানোর জন্য "বেদে বলা হয়েছে" এ ধরনের কথা ব্যবহৃত
হয় যদিও ওই ধরনের কোন কথা বেদে বলা হয়নি।এই কারনে তারা কখনো বেদের
রেফারেন্স ও দেয়না।সবসময় আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে বেদ ব্যতীত অন্যান্য সব
শাস্ত্র ই বর্তমানে সম্পূর্ন অবিকৃত অবস্থায় নেই
যার ফলে ওইসব শাস্ত্রে বেদবিরুদ্ধ অনেক নিয়ম নীতি পাওয়া যায়।এই বেদবিরুদ্ধ
নীতিসমূহ যে গ্রন্থেই পাওয়া যাকনা কেন তা অবশ্য বর্জনীয়।উদাহরনস্বরুপ
বৈষ্ণবদের মান্য গ্রন্দ ভাগবত পুরান এর একটি শ্লোক দেখে নেয়া যাক-
"স্ত্রীশুদ্রদ্বিজবন্ধুনাং ত্রয়ী ন শ্রুতি গোচরা।
কর্মশ্রেয়সী মূড়ানাং শ্রেয়এবং ভবেদিহ।
ইতি ভারতমাখ্যানং কৃপয়া মুনিনা কৃতম্।।
ভাগবত পুরান-১.৪.২৫
"বেদে অনধিকারী স্ত্রী-শুদ্র ও নিন্দিত দ্বিজগনের কল্যান লাভের জন্য তিনি(ব্যসদেব) মহাভারত নামকগ্রন্থ প্রনয়ন করলেন"
এদিকে পবিত্র বেদ বলেছে-
"যথেমাং বাচং কল্যাণীমাবদানি জনেভ্যঃ।
ব্রহ্ম রাজন্যাভ্যাং শুদ্রায় চার্য্যায় চ স্বায় চারনায়।।"
যজুর্বেদ ২৬.৩
"আমি যেমন ব্রাহ্মন,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শুদ্র,
স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য এই কল্যান প্রদায়িনী ঋগবেদাদী
চারি বেদের বাণী উপদেশ করেছি,সেইরকম তোমরাও উপদেশ করতে থাক"
অর্থাত্ ভাগবত পুরান স্ত্রী ও শুদ্রদের অচ্ছুত্ বিবেচনায় তাদের বেদ পড়ার অধিকার নেই বললেও ঈশ্বর তাঁর অলঙ্ঘনীয় বানী বেদ এ তাঁর সকল সন্তানদের বেদপাঠের সমান অধিকার দিয়েছে।
এজন্যই মহর্ষি মনু সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন-
"বেদ ভিন্ন আর যেসকল শাস্ত্র আছে সেগুলো মানব নির্মিত, তা কালক্রমে উত্পন্ন হয় আবার বিকৃতির কারনে বিনাশও প্রাপ্ত হয়"(মনু ১২.৯৫)
মনু আরো বলেছেন,
ধর্ম জিজ্ঞাসমানানাং প্রমানং পরমং শ্রুতি(মনু ২.১৩) এবং যাজ্ঞবল্ক্য বলেছেন,স্মৃতি শ্রুতি বিবাদেন শ্রুতিরেব গরিয়সী অর্থাত্ প্রকৃত জ্ঞানীদের কাছে যেকোন ধর্মজিজ্ঞাসায় বেদ ই একমাত্র প্রামান্য আর অন্য কোন শাস্ত্রবাক্য যদি বেদ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয় তবে তা বর্জনীয়।
সুতরাং কেউ বেদ এর কথা বলে তার যুক্তি চালাতে চাইলে অবশ্যই রেফারেন্স চাইবেন।
"বেদ, হিন্দুশাস্ত্রের শিরোভাগে। ইহাই সর্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন এবংআর সকল শাস্ত্রের আকর বলিয়াপ্রসিদ্ধ। অন্য শাস্ত্রে যাহা বেদাতিরিক্ত আছে, তাহা বেদমূলক বলিয়া চলিয়া যায়। যাহা বেদে নাই বা বেদবিরুদ্ধ, তাহাও বেদের দোহাই দিয়া পাচার হয়।"- বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
Collected....
"স্ত্রীশুদ্রদ্বিজবন্ধুনাং ত্রয়ী ন শ্রুতি গোচরা।
কর্মশ্রেয়সী মূড়ানাং শ্রেয়এবং ভবেদিহ।
ইতি ভারতমাখ্যানং কৃপয়া মুনিনা কৃতম্।।
ভাগবত পুরান-১.৪.২৫
"বেদে অনধিকারী স্ত্রী-শুদ্র ও নিন্দিত দ্বিজগনের কল্যান লাভের জন্য তিনি(ব্যসদেব) মহাভারত নামকগ্রন্থ প্রনয়ন করলেন"
এদিকে পবিত্র বেদ বলেছে-
"যথেমাং বাচং কল্যাণীমাবদানি জনেভ্যঃ।
ব্রহ্ম রাজন্যাভ্যাং শুদ্রায় চার্য্যায় চ স্বায় চারনায়।।"
যজুর্বেদ ২৬.৩
"আমি যেমন ব্রাহ্মন,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শুদ্র,
অর্থাত্ ভাগবত পুরান স্ত্রী ও শুদ্রদের অচ্ছুত্ বিবেচনায় তাদের বেদ পড়ার অধিকার নেই বললেও ঈশ্বর তাঁর অলঙ্ঘনীয় বানী বেদ এ তাঁর সকল সন্তানদের বেদপাঠের সমান অধিকার দিয়েছে।
এজন্যই মহর্ষি মনু সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন-
"বেদ ভিন্ন আর যেসকল শাস্ত্র আছে সেগুলো মানব নির্মিত, তা কালক্রমে উত্পন্ন হয় আবার বিকৃতির কারনে বিনাশও প্রাপ্ত হয়"(মনু ১২.৯৫)
মনু আরো বলেছেন,
ধর্ম জিজ্ঞাসমানানাং প্রমানং পরমং শ্রুতি(মনু ২.১৩) এবং যাজ্ঞবল্ক্য বলেছেন,স্মৃতি শ্রুতি বিবাদেন শ্রুতিরেব গরিয়সী অর্থাত্ প্রকৃত জ্ঞানীদের কাছে যেকোন ধর্মজিজ্ঞাসায় বেদ ই একমাত্র প্রামান্য আর অন্য কোন শাস্ত্রবাক্য যদি বেদ এর সাথে সাংঘর্ষিক হয় তবে তা বর্জনীয়।
সুতরাং কেউ বেদ এর কথা বলে তার যুক্তি চালাতে চাইলে অবশ্যই রেফারেন্স চাইবেন।
"বেদ, হিন্দুশাস্ত্রের শিরোভাগে। ইহাই সর্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন এবংআর সকল শাস্ত্রের আকর বলিয়াপ্রসিদ্ধ। অন্য শাস্ত্রে যাহা বেদাতিরিক্ত আছে, তাহা বেদমূলক বলিয়া চলিয়া যায়। যাহা বেদে নাই বা বেদবিরুদ্ধ, তাহাও বেদের দোহাই দিয়া পাচার হয়।"- বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
Collected....
Post a Comment