Ads (728x90)

SRI SRI THAKUR VIDEO

Like this page

Recent Posts

World time

Add as a follower to automatically get updated Article. Jaiguru!

১) ভণ্ড জাকির নায়েকের দাবী ঋগ্বেদ ১০.১৮.৭-৮ এবং অথববেদ ১৮.১.৩
অথর্ববেদ ১৮.৩.১-২ এ সতিদাহকে সমর্থন করেছে।মন্ত্র দুটি দেখে নেয়া যাক-
ইয়ং নারী পতি লোকং বৃণানা নিপদ্যত উপত্ব্য মর্ন্ত্য প্রেতম্।
ধর্মং পুরাণমনু পালয়ন্তী তস্ম্যৈ প্রজাং দ্রবিণং চেহ ধেহি।।
মর্ত্য-হে মনুষ্য,ইয়ং নারী-এই স্ত্রী,পতিলোকম- পতিলোককে অর্থাত্‍ বৈবাহিক অবস্থাকে,বৃণনা- কামনা করিয়া,প্রেতম-মৃ ত পতির,অনু-পরে,উপ ত্বা-তোমার নিকট,নিপদ্যতে-আ সিতেছে,পুরাণম-স নাতন,ধর্ম্মম-ধর ্মকে,পালয়ন্তী-প ালন করিয়া,তস্য-তাহা র জন্য,ইহ-এই লোকে,প্রজাম্-সন ্তানকে,দ্রবিণং- এবং ধনকে,ধেহি-ধারন করাও
অর্থাত্‍,হে মনুষ্য!এই স্ত্রী পুনর্বিবাহের আকাঙ্খা করিয়া মৃত পতির পরে তোমার নিকট আসিয়াছে।সে সনাতন ধর্মকে পালন করিয়া যাতে সন্তানাদি এবং সুখভোগ করতে পারে।
এই বিষয়ে একই ভাবে তৈত্তিরীয় আরন্যক ৬.১.৩ এ বলা হয়েছে-
ইয়ং নারী পতিলোকং বৃণানা নিপদ্যতউপত্বা মর্ত্য প্রেতম।
বিশ্বং পুরাণ মনু পালয়ন্তী তস্যৈপ্রজাং দ্রবিণং চেহ ধেহি।।
অর্থাত্‍,হে মনুষ্য!মৃত পতির এই স্ত্রী তোমার ভার্যা।সে পতিগৃহ সুখের কামনা করিয়া মৃত পতির পরে তোমাকে প্রাপ্ত হইয়াছে।কিরুপ ভাবে?অনাদি কাল হইতে সম্পূর্ন স্ত্রী ধর্মকে পালন করিয়া।সেই পত্নীকে তুমি সন্তানাদি এবং ধনসম্পত্তি সহ সুখ নিশ্চিত কর।
পরের মন্ত্রটি দেখি,
অথর্ববেদ ১৮.৩.২(এই মন্ত্রটি ঋগবেদ ১০.১৮.৮ এ ও আছে)
উদীষর্ব নার্ষ্যভি জীবলোকংগতাসুমেত মুপশেষ এহি।
হস্তাগ্রাভস্য দিধিষোস্তবেদং পত্যুর্জনিত্বমভ ি সংবভূব।।
নারী-হে স্ত্রী!তুমি,এতত ্‍ গতাসুম্-এই গতপ্রান পতির ,উপশেষে-শয়ন করিয়া আছ(মায়া ধরে আছ),জীবলোকং অভি উদীর্থ-(মায়া ত্যগ করে)বাস্তবতায় ফিরে এস(জীবলোকে),তব- তোমার,হস্তগ্রাভ স্য দিধিষোঃ-পাণিগ্র হনকারী,পত্যুঃ-প তির সঙ্গে,ইদং জনিত্বম-আবার পত্নীত্ব,অভি সংবভুব-সৃষ্টি হল
অর্থাত্‍,হে নারী!মৃত পতির শোকে অচল হয়ে লাভ কি?বাস্তবজীবনে ফিরে এস।পুনরায় তোমার পাণিগ্রহনকারী পতির সাথে তোমার আবার পত্নীত্ব তৈরী হবে।
সায়নভাষ্যে এই মন্ত্রের অর্থ দেখা যায় এরকম-
"হে মৃতপতীর পত্নী!জীবিত পুত্রপৌত্রের লোক অর্থাত্‍গৃ হের কামনা করে শোক ত্যগ কর।মৃত পতির মায়া ত্যগ কর।তোমার পাণিগ্রহনকারী পতির স্ত্রী হইবার ইচ্ছায় তুমি নিশ্চিতরুপে অনুসরন কর।
প্রায় একইভাবে তৈত্তিরীয় আরন্যক এ বলা হয়েছে ৬.১.১৪ তে,
"হে নারী!তুমি এই মৃতপতির মায়ায় আবদ্ধ হয়ে আছ।এই মায়াত্যগ কর।পুনরায় পতি কামনা কর এবং পাণিগ্রহনকারী বিবাহের অভিশাষী এই পতিকে জায়াত্বের সহিত প্রাপ্তহও"
অর্থাত্‍ মন্ত্রদুটিতে সতীদাহ প্রথার কোন কথাই নেই বরং স্বামীমৃত্যুর পর স্ত্রীকে শোকে মুহ্যমান হয়ে না পড়ে শোকত্যগ করে স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে বলা হয়েছে এবং প্রয়োজনে পুনরায় বিবাহকরার অনুমতি দিয়েছে।
২) তার ওয়েবসাইট IRF এ তিনি এও দাবী করেছেন যে বেদ যৌতূক ্রথা সমর্থন করে।দেখি বৈদিক শাস্ত্র কি বলে-
যৌতুক প্রথা?হিন্দুধর্ ম ই একমাত্র ধর্ম যা সরাসরি যৌতুক এর বিরুদ্ধে বলেছে।একমাত্র বৈদিক শাস্ত্র ই নারীদেরকে পুরুষের সমান আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।বিবাহের সময় কন্যার পিতা বরপক্ষকে নয় বরং বরপক্ষ ই সম্মানপূর্ব কন্যাকে ধন দ্বারা আদৃত করবেন।
মনুসংহিতা ৩.৫৪
যাসাং নাদদতে শুলকং জ্ঞাতয়ো ন স বিক্রয়ঃ।
অর্হণং তত্‍ কুমারীণামানৃশংস ্যঞ্চ কেবলম্।।
কন্যার পিতা প্রভৃতি আত্মীয়সজন যেখানে কন্যাকে বরপক্ষপ্রদত্ত ধন গ্রহন করে না,সেখানে অপত্ত ত্যগ হয় না।কন্যাকে সম্মানপ্রদানপূর ্বক বরপক্ষকে কন্যার পিতার
নিকট এই ধন প্রদান করতে হয়।
মনুসংহিতা ৩.৫৫
পিতৃভির্ভ্রাতৃভ িশ্চৈতাঃ পতিভির্দেবরৈস্ত থা।
পূজ্যা ভূষয়িতব্যশ্চ বহুকল্যাণমীপ্সু ভিঃ।।
তবে বিবাহকালে বরই শুধু কন্যাপক্ষকে কন্যার প্রতি সম্মানপূর্বক ধন দেবেন এমন নয়।বিবাহোত্তর কালে কন্যার পিতা,ভ্রাতা ইত্যাদি যদি কন্যার সুখের জন্য কিছু দান করতে অভিলাষী হন,সেক্ষেত্রে বর কনেকে নিমন্ত্রনপূর্বক ভোজনাদি বা কন্যাকে বস্ত্রালঙ্কারাদ ি দ্বারা ভূষিত করবে।
অথর্ববেদ ১৪.১.৬ এ বলা হয়েছে,
" মেয়েকে বিয়ের সময়ে অর্থসম্পত্তির যৌতুক দিওনা, তাকেজ্ঞান সম্পদের যৌতুক দান কর(সুশিক্ষিত করে বিয়ে দাও)।"
ভণ্ড জাকির থেকে সতর্ক থাকুন



Collected

Post a Comment