প্রশ্নঃ ঠাকুর! সব-সময় মনে হয় আপনার কাছে পড়ে থাকি, আর ইষ্টকাজ করি - কিন্তু, সংসারে এত অভাব আর ঋণ-দেনায় জড়িয়েছি একেবারে আটকে পড়েছি।
শ্রীশ্রীঠাকুর: মিতব্যয়িতা জিনিসটা শিখতে হয়। তোর যা সংসার, তাতে তুই যা পাস্, তোর কষ্ট হবার কথা নয়। অথচ নিত্যই তুই অভাবে পড়িস। তার মানে তোর চলনায় গোল আছে। স্বভাবটাকেই সেবাবুদ্ধিসম্পন্ন করে তুলতে হয়। তাহলে আর কষ্ট থাকে না। টাকার মানুষও আমি না। আমি মানুষের, মানুষ আমার। আমার যারা, তাদের যা আছে তা আমারই নিজস্ব সম্পদ বলে আমি মনে করি। আমি ভাবি, কেমন করে তাদের দক্ষ করে তুলতে পারি, উচ্ছল করে তুলতে পারি। নইলে আমি যে নিঃস্ব হয়ে রইলাম। তোরা যদি কেউ হীন-সামর্থ্য হয়ে থাকিস, তাহলে আমার কাছে সেটা বড় অপমানজনক লাগে, আমার আপসোস হয়, দুঃখ হয়। অনেক সময় নিজের গায়ের মাংস নিজে কামড়ে তুলে ফেলতে ইচ্ছা করে। মাঝে-মাঝে মনে হয়, তোদের চাবকে ঠিক করি। পথ পেলি, বুঝলি, শুনলি অথচ চললি না, করলি না, এ দুঃখ আমি রাখব কোথায়? এক-একজন শুধু কথার সাগর হয়ে থাকলি। চরিত্র গঠন করলি না। ও-কথা তোদের পোছে কে রে? তাই কই, আর শয়তানী করিস না, মানুষ হ! দেখে আমার প্রাণ জুড়–ক। দ্যাখ, জন্মে অবধি আমি আর কিছু চাইনিÑআমি কেবল চেয়েছি, প্রত্যেককেই যেন বড় করে তুলতে পারি, প্রত্যেককেই যেন সার্থকজন্মা করে তুলতে পারি। তোরা এক-একজন অন্তরে-বাইরে রাজরাজেশ্বরের মত সুখী হ, তাতেই আমার সুখ। তোরা নিজেরাও সুখী হলি না, আমাকেও সুখ পেতে দিলি না। আমার ভাগ্যিই খারাপ!
সম্পাদনায়:
পরিচালক, শ্রেয় অন্বেষা
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রে'র জীবন ও কর্ম ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পরম দয়াল শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্র |
পরিচালক, শ্রেয় অন্বেষা
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রে'র জীবন ও কর্ম ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান
Post a Comment