Ads (728x90)

SRI SRI THAKUR VIDEO

Like this page

Recent Posts

World time

Add as a follower to automatically get updated Article. Jaiguru!

ছাত্রদের অন্তরের সুপ্ত শক্তি-সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলে শিক্ষা। শিক্ষা অজ্ঞানতার অন্ধকারকে দূরীভূত ক'রে জ্ঞানের জ্যোর্তিময় আলোতে অন্তরকে উদ্ভাসিত করে। শিক্ষা রুচিকে পরিশীলিত করে, বিবেক বুদ্ধিকে জাগিয়ে তোলে, বোধ-বুদ্ধির বিকাশ সাধন করে, বিনয় দান করে, দেয় পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবার প্রয়োজনীয় শক্তি। এক কথায় বলা যায়, শিক্ষা মনুষ্যত্ববোধের জাগরণের চাবিকাঠি। তাই স্বাধীনতার পর থেকে জীবন ধারার সঙ্গে শিক্ষার প্রকৃত সঙ্গতি স্থাপনের জন্য দেশের শিক্ষাবিদ ও দেশ নেতাদের মধ্যে চিন্তার অন্ত নেই। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য ভারতবর্ষের বুকে স্বাধীনতার পর রাধাকৃষ্ণান কমিশন থেকে শুরু করে কোঠারি কমিশন পর্যন্ত একের পর এক শিক্ষা কমিশন গড়ে উঠেছে। দেশের শিক্ষাবিদরা সুষ্ঠু পথ খুঁজে থুঁজে ফিরছেন। তাঁরা চাইছেন এমনতর জীবনধর্মী  শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে যা তরুনদের ব্যক্তিত্বের সামগ্রিক বিকাশের সহায়ক হয়ে উঠবে, তাদের অন্তরের হতাশার অন্ধকার দূরীভূত হবে, তারা কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পাবে, জ্ঞান অর্জন করে গবেষণামূলক কাজের মধ্য দিয়ে জাতিকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাবে।



     জাতীয় জীবনের চরম সঙ্কটময় মুহুর্ত্বে যাঁর দিব্য জীবনের অমৃতনিষ্যন্দী ভাবধারার সংস্পর্শে এসে মানুষ নিত্য লাভ করেছে বেঁচে থেকে বৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা তিনি হলেন আলোর পথের দিশারী পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। তিনি চেয়েছিলেন বর্ণাশ্রমিক সুবিবাহের মধ্য দিয়ে। আজ আমরা স্বাধীন ভারতবর্ষের নাগরিক হয়েও কাম-ক্রোধ-লোভ-মদ- মোহ-মাৎসর্য্য এই ষড়রিপুর দাসত্বের নাগপাশে বদ্ধ বলেই মনুষ্যত্ববোধ হারাতে বসেছি। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার শত অগ্রগতি সত্ত্বেও দেশের প্রকৃত উন্নয়নে পদে পদে ব্যাহত হচ্ছে। পরম দয়াল শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র চেয়েছেন এমনতর শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে যার মধ্য দিয়ে মানুষ প্রবৃত্তির অধীনতা পাশ থেকে নিজেদের মুক্ত করে মানুষকে ভালবাসতে শিখবে, দেশকে ভালবাসতে শিখবে, এক কথায়সে বিনায়িত চরিত্রের অধিকারী হয়ে উঠবে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি লাভ করাটাই শিক্ষার উদ্দেশ্য নয়। তিনি সহজ কথায় বললেন, "মুখে জানে ব্যবহারে নাই / সেই শিক্ষার মুখে ছাই" (অনুশ্রুতি)

     শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ""এর বাস্তব রূপায়নের পথ প্রদর্শক।
     ছাত্রের জীবনকে সুগঠিত করে তোলার জন্য, তাকে আদর্শ নাগরিক রূপে গড়ে তোলার জন্য চাই যুগোপযুগী পাঠ্যক্রম, আদর্শনিষ্ঠ শিক্ষক এবং সর্বোপরি শ্রদ্ধা-প্রীতি-ভালবাসার জীবন্ত বিগ্রহরূপ অভিভাবক-অভিভাবিকা। এই ত্রয়ীর সুষ্ঠু সমন্বয়ের মধ্য দিয়েই শিক্ষার সার্থকতা নির্ভর করে।

জ্ঞান-অর্জনের প্রকৃষ্টতম পথ হল শ্রদ্ধল চলনের অধিকারী হয়ে ওঠা। শ্রীশ্রীঠাকুর বলেন-
'শ্রদ্ধা তপে যোগ্য তারা
দাবীর পূরণ পাবেই তারা ।'

যে শ্রদ্ধার সুরটুকু আজ জীবনের মাঝখান থেকে হারিয়ে গেছে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন সেই শ্রদ্ধাবোধের  জাগরণ ঘটাতে। ছেলেমেয়ের জীবনে প্রথম প্রয়োজন পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা। পিতামাতা হলেন জীবনের  প্রত্যক্ষ দেব-দেবী। শ্রীশ্রীঠাকুরের কন্ঠে ধ্বনিত হল -
'পিতায় শ্রদ্ধা, মায়ে টান
সেই ছেলে হয় সাম্য প্রাণ।'

             পিতামাতাকে গভীরভাবে ভালবাসার মধ্য দিয়ে সন্তানের জীবন সার্থকভাবে গড়ে ওঠে। পিতামাতাকে গভীরভাবে ভালবাসলে সন্তান তাদের মনে ব্যথা দেয়।



     আধুনিক শিক্ষাতত্ত্বে বলা হয়, ""অর্থাৎ শিক্ষা হল ব্যক্তিত্বের সামগ্রিক বিকাশ। আর এই ব্যক্তিত্বের বিকাশের জন্য চাই যুগপুরুষোত্তমের শ্রীপাদপদ্মে নিজেকে সঁপে দিয়ে তাঁকে ভালবেসে তাঁর নির্দেশিত পথে চলে নিজের চরিত্রকে বিনায়িত করার সাধনায় ব্রতী হওয়া। পুরুষোত্তমের শ্রীপাদপদ্মে নিজেকে সঁপে দেওয়ার নাম ছিল দীক্ষা। প্রাচীন ভারতবর্ষে তপোবনে গুরুর কাছে দীক্ষা গ্রহনের পর শুরু হত শিক্ষা। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সেই বনের বেদান্তকে নিয়ে এলেন গৃহের আঙ্গিনায়। তিনি সহজ কথায় বললেন-
"দীক্ষা নিয়ে শিক্ষা ধরিস
   আচার্য্যকে করে সার,
আচরণী বোধ-চয়ণে
  জ্ঞাণের সাগর হ'না পার"     (অনুশ্রুতি)

চলমান...........................................

Post a Comment