Ads (728x90)

SRI SRI THAKUR VIDEO

Like this page

Recent Posts

World time

Add as a follower to automatically get updated Article. Jaiguru!

সমগ্র মানব জাতির প্রগতি, পূর্তি ও মুক্তির জন্য সানুগ্রহে আবির্ভূত ও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তাঁর মহিমাময়ী, মঙ্গলময়ী মহতী বাণী তাঁর শ্রীমুখের বহু ভাষণ এবং বহু রচনার মাধ্যমে দিগবিদিকে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত করে, সকলের অশেষ কৃতজ্ঞতাভাজন এবং আনন্দের কারণ হয়েছিলেন পরিপূর্ণভাবে। বিশেষ করে, তাঁর বিশ্বাস ছিল নারীদের প্রতি। অবশ্য, এটি একটি নতুন কথা - যেহেতু পূণ্যভূমি অনন্যভূমি ভারতবর্ষে প্রাচীনতম বেদোপনিষদের কাল থেকেই পরিবারে, সমাজে, দেশে, বিশ্বে, ব্রহ্মান্ডে নারীরা যে একটি কেন্দ্রীভূত, গুরুত্বপূর্ণ, প্রকৃষ্টসম, আনন্দরসঘন স্থান অধিকার করে রয়েছেন - এই মহাসত্যটি স্বীকৃত হয়েছে অনন্ত অসীম অপরিসীম কৃতার্খতার সঙ্গে। তা সত্ত্বেও, ভারতবর্ষে নারী দেবীজ্ঞাণে পূজিতা হয়েছেন আদ্যন্ত কাল, সেই ভারতবর্ষেই আশ্চর্য্যজনকভাবে, অন্যায়ভাবে, দু:খজনকভাবে এমন দিনও এসেছে যখন নারীদের মানসম্মান লুপ্ত হল, বিলুপ্ত হল তাদের সকল সামাজিক দাবি-দাওয়, সুযোগ-সুবিধা প্রভৃতি বহুলাংশে; প্রচলিত হল নিষ্ঠুরতমভাবে সম্পূর্ণ অশাস্ত্রীয় সতীদাহ, কুলীনপ্রখা সমগ্র দেশ ও জাতির বহুল অকল্যান সাধিত করে। এই কারণে, বর্তমান সাম্য - ঐক্যের যুগেও নারীদের বিষয়ে বিশেষভাবে চিন্তা করা হয়।



                                সেজন্য শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রও তাঁর ‍"নারীর নীতি" নামক সুন্দর গ্রন্থে, নারীদের সাধন ও সিদ্ধি, আচার ও আচরণ, শিক্ষা ও দীক্ষা প্রমুখ বিবিধ তত্ত্বাদি স্বল্প কথায়, অথচ সুগভীর রীতিতে আলোচনা করেছেন। তাঁর স্বভাবসিদ্ধ উদার উন্নত দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে তিনি ব্যাপারটি উভয়দিকই দেখছেন-অর্থাৎ সমাজের কর্তব্য নারীর প্রতি, নারীর কর্তব্যও সমাজের প্রতি সেই সঙ্গে।

                                       তাঁর "নারীর নীতি " গ্রন্থের শেষ বাণীতে তিনি এই প্রসঙ্গে সৃস্পষ্টতম ভাবে বলেছেন -
‍"তুমি ভাবিতে পার-
তোমার স্বামীর প্রতি বা সংসারের প্রতি
যা কিছু করণীয়-শুধু তোমারই
কিন্তু বুঝিও-
ভাল পাইতে হইলেই
ভাল করিতে হয়-
তাহা তোমার বেলায় যেমন,
অন্যের বেলায়ও তেমনি।
তুমি যা অন্যের মঙ্গলে যাহা কিছু
পাওয়ার আশা না রাখিয়া
যতদূর সম্ভব-
উদ্ভেগশূণ্যভাবে তরিয়া যাইতে পার দেখিবে-
পাওয়ার জন্য তোমাকে আর
আঁকুপাঁকু করিতে হইবে না,
পাওয়া তো আসিবেই-
তোমার মনে অন্তরীক্ষে
কে যেন গাহিয়া উঠিবে-
স্বস্তি! স্বস্তি! স্বস্তি!!!"
                    ('নারীর নীতি' - 'স্বস্তি' পৃষ্টা ২৮২-২৮৩)




এই ক্ষুদ্র অথচ জ্ঞানগর্ভ বাণীতে শ্রীশ্রীঠাকুর নারী জীবন তথা মানবজীবনের দুটি মূল তত্ত্বের উল্লেখ করেছেন অনবদ্যভাব - যথা (১)পেতে হলে দিতে হবে (২) ফলের আশা না রেখে, সকাম কর্ম সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করে, সর্বদাই নিষ্কাম কর্ম করবে - এবং সেই সুফল তোমার কাছে আপনিই আসবে সুনিষ্চিত।

  স্থানাভাবে, প্রথম কল্যানজনক তত্ত্বটিকেই কেবল সংক্ষেপে ধরা যাক।
 এ স্থলে ভারত বর্ষের একটি প্রাণের কথা বলা হয়েছে মনোরমভাবে। সেটি হল এই যে, ব্রহ্মও ব্রাহ্মন্ড, শিব ও জীব, পরমাত্মা ও জীবাত্মা, এক ও বহু, স্বরূপত: এক ও অভিন্ন- যে জন্য ভারতদর্শন-ভিত্তি উপনিষদে বারংবার বলা হয়েছে মোহনতম, মধুরতম, মাঙ্গলতমভাবে নির্ভয়ে নি:সংকোচে, নির্দ্ধিধায়।

চলমান.....

লেখক: ড: রমা চৌধুরী, এম.এ.পি.এইচ.ডি
    প্রাক্তন উপাচার্য, রবীন্দ্র ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

Post a Comment