Ads (728x90)

SRI SRI THAKUR VIDEO

Like this page

Recent Posts

World time

Add as a follower to automatically get updated Article. Jaiguru!

 সমাজ সংস্থিতির মূলে নারীর অবদান অনস্বীকার্য, বস্তুত: নারীর নিষ্ঠা, তুষ্টি, পুষ্টি, প্রেরণা, সেবা, যত্ন, প্রীতি-মমতা, উৎসাহ, উদ্দীপনা পুরুষকে সঞ্জীবিত করে তোলে, করে তোলে জীবন সংগ্রামে অপরাজেয়।

           আর্য ঋষিরা নারীর বৈশিষ্ট্যকে রূঢ় কঠিন হাতে বেঁধে ছিলেন এজন্যই যে, তাঁরাই হলেন সমাজের মেরুদন্ডস্বরূপ-একথা তাঁদের বিশ্বাসবৎ ছিল। একে মূল্যহীন, তা-বললে সঠিক হবে না. বরং বলা উচিত আর্যঋষিক সমাজ ব্যবস্থার যে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিভূমি (যাকে আধুনিক ভাষার ইউজেনিক্স বলা হয়ে থাকে) তাকেই তাঁর সসম্মানে গ্রহন করেছিলেন এবং নারীকে তারাই বিধায়ত্রী বলে মনে করেছিলেন।


           শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আর্যকৃষ্টির প্রাচীন সামাজিক মূল্যায়নকে নবভাবে ব্যাখ্যা করলেন-কার্যত: নবীন যুগের পট ভূমিকায় তার নবমূল্যায়ন করলেন। তিনি বললেন, সমাজের শুচিতার গুরুদায়িত্ব পালন করছেন নারীরাই। তাদের শুদ্ধতার মধ্য দিয়ে সমাজের ধ্বংসরোধ সম্ভবপর। কিন্তু কিভাবে সে কাজ সম্পন্ন হতে পারে?

         এ প্রশ্নের উত্তরে সহজ দুটি উপায়ের উপর নির্ভর করতে বিধান দিলেন ঠাকুর তা হলো
১)    সুবিবাহ ব্যবস্থা
২)    সুপ্রজনন
প্রখ্যাত গ্রীকদার্শনিক প্লেটো সুস্থ সন্তান প্রজনন সমাজের মানবিক দায়িত্ব বলে বিশ্বাস করতেন। (তাঁর ‘রিপাবলিক’ গ্রন্থে কথার স্পষ্টতা অনস্বীকার্য)
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন,
“নারী হতে জন্মে জাতি
বৃদ্ধি লভে সমষ্টিতে
নারী আনে বৃদ্ধি ধারা
নারী হতেই বাঁচাবাড়া
পুরুষেতে টানটি যেমন
মূর্তি পায় তা সন্ততিতে” (অনুশ্রুতি)

            শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের মতে বিবাহের উদ্দেশ্যই হবে সামাজিক ও ব্যক্তিক উদ্ধর্দ্ধন । সমস্ত বিবাহকেই ঠাকুর একটা আদর্শে ও সত্য ভাবনার উদ্দীপিত করতে চাইলেন।
     কারণ তাঁর কথায়-
                   “ইষ্ট নাই করে বিয়ে
                     আগুন উঠে ফিনিক দিয়ে”
অর্থাৎ আদর্শে ও আত্মনিয়ন্ত্রণে যে নরনারীর মিলন হয় না, তাতে ব্যক্তিগত অস্তিত্ব বৃদ্ধিও ও স্বার্থকতার মুখ দেখে না। পুরুষ যদি ইষ্ট-নিষ্ট হয়, এবং বিবাহ যদি যথার্থ হয়, তবে মনেবৃত্ত্যানুসারিনী সহধর্মিনীর উদ্দীপনায় ও প্রেরণায় পুরুষ জীবনে সবদিকে থেকে সার্থক হয়ে উঠতে পারে উন্নত স্বামীর প্রতি সক্রিয় অনুরাগ স্ত্রীকেও সার্থক করে তোলে, জন্ম হয় সুসন্তানের , যা কিনা সমাজ উর্দ্বধনার প্রাথমিক শর্ত।
     আর্যকৃষ্টি নারীসমাজ এমন একটি মনোভাব সৃষ্টি হয়েছিল, যাতে তাঁরা শ্রেয়ের প্রতি প্রেষ্টের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। আজকের নারী সমাজকেও তাই অনুভব করে বুঝতে হবে যে, তারা ধর্ম, কৃষ্টি, ্ঐতিহ্য, ইষ্ট ও পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাহারা কোন পুরুষকে বিবাহের ব্যাপারে বরণীয় বলে গ্রহন করবেনা। 

চলমান......


লেখক: বনানী দাস ইভা
এডভোকেট, জজকোর্ট, সিলেট
সিনিয়র সহ-সভাপতি, সিলেট জেলা সৎসঙ্গ, সিলেট, বাংলাদেশ।
  
      


  


Post a Comment