মিস শিমার: গীতায় নিষ্কামকর্ম্ম এবং যে কর্ম্মের কথা বলেছেন, দুই-ই কি এক জিনিস?
শ্রীশ্রীঠাকুর--হ্যাঁ!প্রেষ্ঠস্বার্থ, প্রেষ্ঠ-প্রতিষ্ঠা ও প্রেষ্ঠ-প্রীত্যির্থে যে কর্ম্ম,তাই-ই প্রকৃত কর্ম্ম, আর তাকেই বলে নিষ্কাম-কর্ম্ম।
নিজের কামনার তাড়নায় মানুষ যে-সব কর্ম্ম করে, সেগুলি মানুষকে মোহাচ্ছন্ন ক'রে ফেলে।
একবার ঐ জালে জড়িয়ে পড়লে মানুষকে একের পর এক কর্ম্ম বহু করতে হয়, কিন্তু সে-কর্ম্মের উপর তার হাত থাকে না, কর্ম্মচক্র ও কর্ম্মফল তাকে বাধ্য ক'রে টেনে নিয়ে চলে আপন গতিপথে। তার সওাপোষণী নিয়ন্ত্রণে সে করতে পারে কমই। কারণ, ঐ দাঁড়ায় দাঁড়িয়ে তার কর্ম্ম সুরু হয়নি, তার কর্ম্ম সুরু হয়েছে প্রবৃওির দাঁড়ায় দাঁড়িয়ে।
শ্রীশ্রীঠাকুর--হ্যাঁ!প্রেষ্ঠস্বার্থ, প্রেষ্ঠ-প্রতিষ্ঠা ও প্রেষ্ঠ-প্রীত্যির্থে যে কর্ম্ম,তাই-ই প্রকৃত কর্ম্ম, আর তাকেই বলে নিষ্কাম-কর্ম্ম।
নিজের কামনার তাড়নায় মানুষ যে-সব কর্ম্ম করে, সেগুলি মানুষকে মোহাচ্ছন্ন ক'রে ফেলে।
একবার ঐ জালে জড়িয়ে পড়লে মানুষকে একের পর এক কর্ম্ম বহু করতে হয়, কিন্তু সে-কর্ম্মের উপর তার হাত থাকে না, কর্ম্মচক্র ও কর্ম্মফল তাকে বাধ্য ক'রে টেনে নিয়ে চলে আপন গতিপথে। তার সওাপোষণী নিয়ন্ত্রণে সে করতে পারে কমই। কারণ, ঐ দাঁড়ায় দাঁড়িয়ে তার কর্ম্ম সুরু হয়নি, তার কর্ম্ম সুরু হয়েছে প্রবৃওির দাঁড়ায় দাঁড়িয়ে।
তাই, তার
কর্ম্মধারা তার অধীন নয়, ঐ কর্ম্মধারা তার প্রবৃওির dynamic
motion(গতিবেগ)-এর অধীন। তা মানুষকে যে-পরিণতির পথে নিয়ে চলে, মানুষ
সাধারণতঃ যন্ত্রচালিতবৎ হ'য়ে সেই পথেই চলতে বাধ্য হয়।
শুনেছি এই ধরনের একটা সুন্দর গল্প আছে এই সম্বন্ধে। এক সাধু ছিল।ইঁদুরে কৌপীন কেটে ফেলত।তাই ইঁদুর মারার জন্য জন্য সে একটা বিড়াল পুষল। বিড়ালের জন্য দুধের প্রয়োজন।তাই সে একটা গরু পুষল। রান্নাবাড়া, গরু-পোষা সব কাজ তার পক্ষে করা কঠিন, তাই সে বিয়ে করল।বিয়ে ক'রে ছেলেপুলে হ'লো। তাদের খেতে-পরতে দিতে হবে।
তাই সাধন-ভজন গেল চুলোয়। পেটের ধান্ধায় টো-টো ক'রে ঘুরে বেড়ায়। একটার লেজুড় হিসেবে অনেক কিছু এসে পড়ে। এই হ'লো প্রবৃওির dynamics(গতি-বিজ্ঞান)-এর ধারা। এর নিরসন না করলে নিস্তার নেই।
(আঃপ্রঃ--১০/১০৯)
শুনেছি এই ধরনের একটা সুন্দর গল্প আছে এই সম্বন্ধে। এক সাধু ছিল।ইঁদুরে কৌপীন কেটে ফেলত।তাই ইঁদুর মারার জন্য জন্য সে একটা বিড়াল পুষল। বিড়ালের জন্য দুধের প্রয়োজন।তাই সে একটা গরু পুষল। রান্নাবাড়া, গরু-পোষা সব কাজ তার পক্ষে করা কঠিন, তাই সে বিয়ে করল।বিয়ে ক'রে ছেলেপুলে হ'লো। তাদের খেতে-পরতে দিতে হবে।
তাই সাধন-ভজন গেল চুলোয়। পেটের ধান্ধায় টো-টো ক'রে ঘুরে বেড়ায়। একটার লেজুড় হিসেবে অনেক কিছু এসে পড়ে। এই হ'লো প্রবৃওির dynamics(গতি-বিজ্ঞান)-এর ধারা। এর নিরসন না করলে নিস্তার নেই।
(আঃপ্রঃ--১০/১০৯)
Post a Comment