Ads (728x90)

SRI SRI THAKUR VIDEO

Like this page

Recent Posts

World time

Add as a follower to automatically get updated Article. Jaiguru!

 যিনি অবতীর্ণ হন তাঁর লীলা ও আবির্ভাবের মহিমা বর্ণনা ও উপলব্ধি করে থাকেন তাঁর একান্ত ভক্ত পার্ষদ। অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে, এবং তার মহিমা বর্ণনা করেন ব্যাসদেব, শ্রীরামচন্দ্রের চরিত কথা ও লীলা মাধুর্য্য বর্ণনা করেন বাল্মিকী। শ্রীচৈতন্যদেবের পূণ্য চরিতকথা ও তাঁর দিব্যলীলা ব্যাখাদান করেন রুপসনাতন প্রমুখ, বৃন্দাবন দাস, কৃষ্ণদাস কবিরাজ ও ছয় গোস্বামী। স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের লীলা-মহিমা মানুষের মাঝে তুলে ধরেছেন।  সেন্ট পল যীশুখৃষ্টকে এবং শারিপুত্ত ও মোদগল্যায়ন ভগবান বুদ্ধের মহিমা বর্ণনা করেছিলেন। আর, শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রেমময় দিব্যজীবন ও লীলা-মহিমা মানুষের মানুষের মাঝে উপহার দিয়েছেন শ্রীশ্রীবড়দা।
 শ্রীশ্রীঠাকুর ভালোবাসা দিয়ে সকলকে একসূত্রে গ্রথিত করেছিলেন। শ্রীশ্রীবড়দা ভালোবাসা দিয়ে সকলকে ইষ্টকাজে নিয়ত যুক্ত করে রেখেছেন। শ্রীশ্রীদাদা ভালোবাসা দিয়ে ঠাকুরের ইচ্ছাকে সকলের মাঝে বিস্তার করছেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীতে আছে, ‘এমনতরই এক হতে অন্যে, অন্য হতে অপরের ভিতর ঐ পুরুষোত্তমেরই দ্যুতিচ্ছটা বিকীর্ণ হয়ে মানবের মহতী কল্যানের বর্ত্মকে অমৃতময় করে তোলে।’
 দাঁড়াও, কিন্তু জীবনদন্ডকে আশ্রয় করে, আর, আচার্য্যই হচ্ছেন জীবনদন্ড।
 সত্তার মূলই হল আত্মা, আর, এই আত্মাÑসমীক্ষুই আত্মবিৎ আর, তিনিই আচার্য্য;  তদন্বিতবৃত্তি ও তৎসমাহিতচিত্ত যিনি তিনিই বোধ করেন তাঁকে অখন্ড সচ্চিদানন্দ আত্মার মূর্ত্ত প্রতীক।
দ্বাপর যুগে যুগপুরুষোত্তম হয়ে এসেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তৎকালিন সামাজিক প্রেক্ষাপটের উপর দাঁড়িয়ে তিঁনি মানুষের বাঁচা-বাড়ার বিধান দিয়েছিলেন। সেই সময় সমাজ জীবনে নাকি চার ভাগের এক ভাগ ছিল পাপ আর তিন ভাগ পূণ্য। তা সত্ত্বেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দেহাবসানের কিছুদিন পরেই সমাজে ভয়াবহ বিপর্য্যয় নেমে আসে। খোদ যদু বংশ ধ্বংস হয়ে যায়। ঠাকুর এবার এসেছেন মানুষের জীবনের মূল বুনিয়াদকে শক্ত করে আগামী কয়েক হাজার বছরব্যাপী তাঁর স্বস্তি অভিযানকে অক্ষত ও অবিকৃত রাখতে। শুধু একটি প্রজন্ম নয়, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমরা যাতে আরো থেকে আরোতরভাবে পুরুষোত্তমের ভজনা করে ক্রমোন্নতির পথে ধাবিত হতে পারি, এইজন্য পুরুষোত্তম অনুশাসিত তঁন্নিষ্ঠ, তঁত্তপা কৃষ্টিজাত সন্তানদের লিভিং আইডিয়াল হিসাবে বা মূর্ত্তমান আদর্শ হিসাবে আমাদের অনুসরণ করতে বলেছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর আচার্য্য পরাম্পরায় জীবন্ত আছেন তাঁর নিম্নবর্ণিত বাণী:

 ইষ্টগুরু পুরুষোত্তম প্রতীক গুরু বংশধর,
রেত-শরীরে সুপ্ত থাকে জ্যান্ত তিনি নিরন্তর।

 নিত্য চলে তাঁর লীলা লোকে লোকান্তরে
দেখে সেই ভক্তি যার জাগ্রত অন্তরে।   ............   শ্রীশ্রীদাদা।

 অদ্যপি করেন লীলা সেই গোরা রায়
কোন কোন ভাগ্যবানে দেখিবারে পায়।

 একজন অবতারী পুরুষের আবির্ভাবের সময় আরো অবতারের আবির্ভাব সম্ভব। রামকৃষ্ণ কথামৃত গল্পে, শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন, ‘আমি পূর্ণ ব্রক্ষ্ম কিনা দেখবে এসো। এই বলে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়ে বললেন, তুমি কি দেখছ? অর্জুন বললেন, ‘আমি একটি বৃহৎ গাছ দেখছি, তাতে থোলো থোলো কালো জামের মত ফল ফলে আছে। আরো কাছে এসে দেখেÑথোলো থোলো কালো অসংখ্য কৃষ্ণ ফলে আছে। অর্থাৎ সেই পূর্ণব্রক্ষ্মরুপ কৃষ্ণ থেকে অসংখ্য অবতার হয়ে যাচ্ছে।’  অবতারের সংখ্যা যখন এরুপ তখন শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা, পূজনীয় বাবাইদা এমন একাধিক অবতার জগতের কল্যানে আনতে পারেন তাতে সংশয় কি! কল্কি-অবতারের স্বরূপ বর্ণনায় তো আছে, ‘কল্কিরূপে আসিবেন সকলের সার সীমাসংখ্যাহীন তার অবতার।’ শ্রীচৈতন্যদেব যখন আসেন, তখন তার কিছু পূর্বে জন্মেছিলেন সেই দুই মহামানব প্রভূ অদ্বৈতাচার্য্য এবং শ্রীনিত্যানন্দ। শ্রীচৈতন্যদেব ছিলেন অবতারী এবং ঐ দুইজন হলেন অবতার। অদ্বৈত্যাচার্য্য ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের এবং বলরামের অবতার ছিলেন নিত্যানন্দ। তাহলে অবতারী পুরুষের কিছু আগে অবতারদের আগমন আশ্চর্য্যরে কিছু নয়। শ্রীশ্রীদাদা প্রসঙ্গক্রমে বলেছেন,‘ ঠাকুর অবতারী পুরুষ, যাঁর নির্দেশে অবতাররা ধরাধামে আসেন, তিনি হলেন অবতারী।’

Post a Comment