Ads (728x90)

SRI SRI THAKUR VIDEO

Like this page

Recent Posts

World time

Add as a follower to automatically get updated Article. Jaiguru!

আমার রোগশয্যার উপর নববৎসর আসিল । নববৎসরের এমন নবীন মূর্তি অনেক দিন দেখি নাই ।
একটু দূরে আসিয়া না দাঁড়াইতে পারিলে কোনো বড়ো জিনিসকে ঠিক বড়ো করিয়া দেখা যায় না । যখন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত হইয়া থাকি তখন নিজের পরিমাণেই সকল জিনিসকে খাটো করিয়া লই । তাহা না করিলে প্রতিদিনের কাজ চলে না । মানুষের ইতিহাসে যত বড়ো মহৎ ঘটনাই ঘটুক না নিজের পেটের ক্ষুধাকে উপস্থিত মত যদি একান্ত করিয়া না দেখা যায় তবে বাঁচাই শক্ত হয় । যে মজুর কোদাল হাতে মাটি খুঁড়িতেছে সে লোক মনেও ভাবে না যে সেই মুহূর্তেই রাজা-মহারাজার মন্ত্রণাসভায় রাজ্যসাম্রাজ্যের ব্যবস্থা লইয়া তুমুল আন্দোলন চলিতেছে । অনাদি অতীত ও অনন্ত ভবিষ্যৎ যত বড়োই হক , তবু মানুষের কাছে এক মুহূর্তের বর্তমান তাহার চেয়ে ছোটো নয় । এই জন্য এই-সমস্ত ছোটো ছোটো নিমেষগুলির বোঝা মানুষের কাছে যত ভারি এমন যুগ-যুগান্তরের ভার নহে — এই জন্য তাহার চোখের সামনে এই নিমেষের পর্দাটাই সকলের চেয়ে মোটা — যুগ-যুগান্তরের প্রসারের মধ্যে এই পর্দার স্থূলতা ক্ষয় হইয়া যাইতে থাকে । বিজ্ঞানে পড়া যায় পৃথিবীর গায়ের কাছের বাতাসের আচ্ছাদনটা যত ঘন , এমন তাহার দূরের আচ্ছাদন নহে — পৃথিবীর নীচের টানে ও উপরের চাপে তাহার আবরণ এমন নিবিড় হইয়া উঠে । আমাদেরও তাই । যত আমাদের কাছের দিকে , ততই আমাদের নিজের টানে ও পরের চাপে আমাদের মনের উপরকার পর্দা অত্যন্ত বেশি নিরেট হইয়া দাঁড়ায় ।
শাস্ত্রে তাই বলে আমাদের সমস্ত আবরণ আসক্তিরই অর্থাৎ আকর্ষণেরই রচনা । নিজের দিকে যতই টান দিব নিজের উপরকার ঢাকাটাকে ততই ঘন করিয়া তুলিব । এই টান হালকা হইলে তবেই পর্দা ফাঁক হইয়া যায় ।
দেখিতেছি রুগ্‌ণ শরীরের দুর্বলতায় এই টানের গ্রন্থিটাকে খানিকটা আলগা করিয়া দিয়াছে । নিজের চারি দিকে যেন অনেকখানি ফাঁকা ঠেকিতেছে । কিছু একটা করিতেই হইবে , ফল একটা পাইতেই হইবে , আমার হাতে কাজ আছে আমি না হইলে তাহা সম্পন্নই হইবে না এই চিন্তায় নিজেকে একটুও অবসর দেওয়া ঘটে না , অবসরটাকে যেন অপরাধ বলিয়া মনে হয় । কর্তব্যের যে অন্ত নাই , জগৎসংসারের দাবির যে বিরাম নাই ; এই জন্য যতক্ষণ শক্তি থাকে ততক্ষণ সমস্ত মন কাজের দিকে ছটফট করিতে থাকে । এই টানাটানি যতই প্রবল হইয়া উঠে ততই নিজের অন্তরের ও বাহিরের মাঝখানে সেই স্বচ্ছ অবকাশটি ঘুচিয়া যায় — যাহা না থাকিলে সকল জিনিসটাকে যথাপরিমাণে সত্য আকারে দেখা যায় না । বিশ্বজগৎ অনন্ত আকাশের উপরে আছে বলিয়াই , অর্থাৎ তাহা খানিকটা করিয়া আছে ও অনেকটা করিয়া নাই বলিয়াই তাহার ছোটো বড়ো নানা আকৃতি আয়তন লইয়া তাহাকে এমন বিচিত্র করিয়া দেখিতেছি । কিন্তু জগৎ যদি আকাশে না থাকিয়া একেবারে আমাদের চোখের উপরে চাপিয়া থাকিত — তাহা হইলে ছোটোও যা বড়োও তা , বাঁকাও যেমন সোজাও তেমন ।
তেমনি যখন শরীর সবল ছিল তখন অবকাশটাকে একেবারে নিঃশেষে বাদ দিবার আয়োজন করিয়াছিলাম । কেবল কাজ এবং কাজের চিন্তা ; কেবল অন্তবিহীন দায়িত্বের নিবিড় ঠেসাঠেসির মাঝখানে চাপা পড়িয়া নিজেকে এবং জগৎকে স্পষ্ট করিয়া ও সত্য করিয়া দেখিবার সুযোগ যেন একেবারে হারাইয়াছিলাম । কর্তব্যপরতা যত মহৎ জিনিস হোক , সে যখন অত্যাচারী হইয়া উঠে তখন সে আপনি বড়ো হইয়া উঠিয়া মানুষকে খাটো করিয়া দেয় । সেটা একটা বিপরীত ব্যাপার । মানুষের আত্মা মানুষের কাজের চেয়ে বড়ো ।
এমন সময় শরীর যখন বাঁকিয়া বসিল , বলিল , আমি কোনোমতেই কাজ করিব না তখন দায়িত্বের বাঁধন কাটিয়া গেল ।
তখন টানাটানিতে ঢিল পড়িতেই কাজের নিবিড়তা আলগা হইয়া আসিল — মনের চারি দিকের আকাশে আলো এবং হাওয়া বহিতে লাগিল । তখন দেখা গেল আমি কাজের মানুষ একথাটা যত সত্য , তাহার চেয়ে ঢের বড়ো সত্য আমি মানুষ । সেই বড়ো সত্যটির কাছেই জগৎ সম্পূর্ণ হইয়া দেখা দেয় — বিশ্ববীণা সুন্দর হইয়া বাজে — সমস্ত রূপরসগন্ধ আমার কাছে স্বীকার করে যে “ তোমারই মন পাইবার জন্য আমরা বিশ্বের প্রাঙ্গণে মুখ তুলিয়া দাঁড়াইয়া আছি । ”
আমার কর্মক্ষেত্রকে আমি ক্ষুদ্র বলিয়া নিন্দা করিতে চাই না কিন্তু আমার রোগশয্যা আজ দিগন্তপ্রসারিত আকাশের নীলিমাকে অধিকার করিয়া বিস্তীর্ণ হইয়াছে । আজ আমি আপিসের চৌকিতে আসীন নই , আমি বিরাটের ক্রোড়ে শয়ান. সেইখানে সেই অপরিসীম অবকাশের মাঝখানে আজ আমার নববর্ষের অভ্যুদয় হইল — মৃত্যুর পরিপূর্ণতা যে কী সুগভীর আমি যেন আজ তাহার আস্বাদন পাইলাম । আজ নববর্ষ অতলস্পর্শ মৃত্যুর সুনীল শীতল সুবিপুল অবকাশপূর্ণ স্তব্ধতার মাঝখানে জীবনের পদ্মটিকে যেন বিকশিত করিয়া ধরিয়া দেখাইল ।
তাই তো আজ বসন্তশেষের সমস্ত ফুলগন্ধ একেবারে আমার মনের উপরে আসিয়া এমন করিয়া ছড়াইয়া পডিতেছে । তাই তো আমার খোলা জানালা পার হইয়া বিশ্বআকাশের অতিথিরা এমন অসংকোচে আমার ঘরের মধ্যে আসিয়া প্রবেশ করিতেছে । আলো যে ঐ অন্তরীক্ষে কী সুন্দর করিয়া দাঁড়াইয়াছে , আর পৃথিবী ঐ তার পায়ের নীচে আঁচল বিছাইয়া কী নিবিড় হর্ষে পুলিকত হইয়া পড়িয়া আছে তাহা যেন এত কাল দেখি নাই । এই আজ আমি যাহা দেখিতেছি এ যে মৃত্যুর পটে আঁকা জীবনের ছবি ; যেখানে বৃহৎ , যেখানে বিরাম , যেখানে নিস্তব্ধ পূর্ণতা , তাহারই উপরে দেখিতেছি এই সুন্দরী চঞ্চলতার অবিরাম নূপুরনিক্কণ , তাহার নানা রঙের আঁচলখানির এই উচ্ছ্বসিত ঘূর্ণ্যগতি ।
আমি দেখিতেছি বাহিরের দরজায় লক্ষ লক্ষ চন্দ্রসূর্য গ্রহতারা আলো হাতে ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছে , আমি দেখিতেছি মানুষের ইতিহাসে জন্ম-মৃত্যু উত্থান-পতন ঘাত-প্রতিঘাত উচ্চকলরবে উতলা হইয়া ফিরিতেছে — কিন্তু সেও তো ঐ বাহিরের প্রাঙ্গণে । আমি দেখিতেছি ঐ যে রাজার বাড়ি তাহাতে মহলের পর মহল উঠিয়াছে , তাহার চূড়ার উপরে নিশান মেঘ ভেদ করিয়া কোথায় চলিয়া গিয়াছে সে আর চোখে দেখা যায় না । কিন্তু চাবি যখন লাগিল , দ্বার যখন খুলিল — ভিতর বাড়িতে একি দেখা যায়! সেখানে আলোয় তো চোখ ঠিকরিয়া পড়ে না , সেখানে সৈন্যসামন্তে ঘর জুড়িয়া তো দাঁড়ায় নাই! সেখানে মণি নাই মানিক নাই , সেখানে চন্দ্রাতপে তো মুক্তার ঝালর ঝুলিতেছে না । সেখানে ছেলেরা ধুলাবালি ছড়াইয়া নির্ভয়ে খেলা করিতেছে , তাহাতে দাগ পড়িবে এমন রাজ-আস্তরণ তো কোথাও বিছানো নাই । সেখানে যুবকযুবতীরা মালা বদল করিবে বলিয়া আঁচল ভরিয়া ফুল তুলিয়াছে কিন্তু রাজোদ্যানের মালী আসিয়া তো কিছুমাত্র হাঁকডাক করিতেছে না । বৃদ্ধ সেখানে কর্মশালার বহু কালিমাচিহ্নিত অনেকদিনের জীর্ণ কাপড়খানা ছাড়িয়া ফেলিয়া পট্টবসন পরিতেছে , কোথাও তো কোনো নিষেধ দেখি না । ইহাই আশ্চর্য যে এত ঐশ্বর্য এত প্রতাপের মাঝখানটিতে সমস্ত এমন সহজ , এমন আপন! ইহাই আশ্চর্য , পা তুলিতে ভয় হয় না , হাত তুলিতে হাত কাঁপে না । ইহাই আশ্চর্য যে এমন অভেদ্য রহস্যময় জ্যোতির্ময় লোকলোকান্তরের মাঝখানে এই অতি ক্ষুদ্র মানুষের জন্মমৃত্যু সুখদুঃখ খেলাধুলা কিছুমাত্র ছোটো নয় , সামান্য নয় , অসংগত নয় — সেজন্য কেহ তাহাকে একটুও লজ্জা দিতেছে না । সবাই বলিতেছে তোমার ঐটুকু খেলা , ঐটুকু হাসিকান্নার জন্যই এত আয়োজন — ইহার যতটুকুই তুমি গ্রহণ করিতে পার ততটুকুই সে তোমারই — যতদূর পর্যন্ত তুমি দেখিতেছ সে তোমারই দুই চক্ষুর ধন — যতদূর পর্যন্ত তোমার মন দিয়া বেড়িয়া লইতে পার সে তোমারই মনের সম্পত্তি । তাই এত বড়ো জগৎব্রহ্মাণ্ডের মাঝখানে আমার গৌরব ঘুচিল না — ইহার অন্তবিহীন ভারে আমার মাথা এতটুকুও নত হইল না ।

কিন্তু ইহাও বাহিরে । আরো ভিতরে যাও — সেখানেই সকলের চেয়ে আশ্চর্য । সেইখানেই ধরা পড়ে , কৌটার মধ্যে কৌটা , তাহার মাঝখানে যে রত্নটি সেই তো প্রেম । কৌটার বোঝা বহিতে পারি না কিন্তু সেই প্রেমটুকু এমনি যে , তাহাকে গলার হার গাঁথিয়া বুকের কাছে অনায়াসে ঝুলাইয়া রাখিতে পারি । প্রকাণ্ড এই জগৎব্রহ্মাণ্ডের মাঝখানে বড়ো নিভৃতে ঐ একটি প্রেম আছে — চারি দিকে সূর্যতারা ছুটাছুটি করিতেছে , তাহার মাঝখানকার স্তব্ধতার মধ্যে ঐ প্রেম ; চারি দিকে সপ্তলোকের ভাঙাগড়া চলিতেছে , তাহারই মাঝখানকার পূর্ণতার মধ্যে ঐ প্রেম । ঐ প্রেমের মূল্যে ছোটোও যে সে বড়ো , ঐ প্রেমের টানে বড়োও যে সে ছোটো । ঐ প্রেমই তো ছোটোর সমস্ত লজ্জাকে আপনার মধ্যে টানিয়া লইয়াছে , বড়োর সমস্ত প্রতাপকে আপনার মধ্যে আচ্ছন্ন করিয়াছে , ঐ প্রেমের নিকেতনের মধ্যে প্রবেশ করিলে দেখিতে পাই বিশ্বজগতের সমস্ত সুর আমারই ভাষাতে গান করিতেছে — সেখানে একি কাণ্ড! সেখানে নির্জন রাত্রির অন্ধকারে রজনীগন্ধার উন্মুখ গুচ্ছ হইতে যে গন্ধ আসিতেছে সে কি সত্যই আমারই কাছে নিঃশব্দচরণে দূত আসিল! এও কি বিশ্বাস করিতে পারি! হাঁ সত্যই । একেবারেই বিশ্বাস করিতে পারিতাম না মাঝখানে যদি প্রেম না থাকিত । সেই তো অসম্ভবকে সম্ভব করিল । সেই তো এতবড়ো জগতের মাঝখানেও এত ছোটো বড়ো করিয়া তুলিল । বাহিরের কোনো উপকরণ তাহার যে আবশ্যক হয় না , সে যে আপনারই আনন্দে ছোটোকে গৌরব দান করিতে পারে ।
এই জন্যই তো ছোটোকে তাহার এতই দরকার । নইলে সে আপনার আনন্দের পরিমাণ পাইবে কী করিয়া ? ছোটোর কাছে সে আপনার অসীম বৃহত্ত্বকে বিকাইয়া দিয়াছে ; ইহাতেই তাহার আপনার পরিচয় , ইহাতেই তাহার আনন্দের পরিমাণ । সেই জন্যই এমন স্পর্ধা করিয়া বলিতেছি , এই তারাখচিত আকাশের নীচে , এই পুষ্পবিকশিত বসন্তের বনে , এই তরঙ্গমুখরিত সমুদ্র-বেলায় ছোটোর কাছে বড়ো আসিতেছেন । জগতে সমস্ত শক্তির আন্দোলন , সমস্ত নিয়মের বন্ধন , সমস্ত অসংখ্য কাজের মাঝখানে এই আনন্দের লীলাটিই সকলের চেয়ে গভীর , সকলের চেয়ে সত্য । ইহা অতি ছোটো হইয়াও ছোটো নহে , ইহাকে কিছুতেই আচ্ছন্ন করিতে পারিল না । দেশকালের মধ্যে তাহার বিহার ; প্রত্যেক তিলপরিমাণ দেশকে ও পলপরিমাণ কালকে অসীমত্বে উদ্ভাসিত করা তাহার স্বভাব — আর , আমার এই ক্ষুদ্র আমি টুকুকে নানা আড়ালের ভিতর দিয়া নিবিড় সুখেদুঃখে আপন করিয়া লওয়া তাহার পরিপূর্ণতা ।
জগতের গভীর মাঝখানটিতে এই যেখানে সমস্ত একেবারেই সহজ , যেখানে বিশ্বের বিপুল বোঝা আপনার সমস্ত ভার নামাইয়া দিয়াছে , সত্য যেখানে সুন্দর , শক্তি যেখানে প্রেম , সেইখানে একেবারে সহজ হইয়া বসিবার জন্য আজ নববর্ষের দিনে ডাক আসিল । যেদিকে প্রয়াস , যেদিক যুদ্ধ সেই সংসার তো আছেই — কিন্তু সেইখানেই কি দিন খাটিয়া দিন-মজুরি লইতে হইবে ? সেইখানেই কি চরম দেনাপাওনা ? এই বিপুল হাটের বাহিরে নিখিল ভুবনের নিভৃত ঘরটির মধ্যে একটি জায়গা আছে যেখানে হিসাবকিতাব নাই , যেখানে আপনাকে অনায়াসে সম্পূর্ণ সমর্পণ করিতে পারাই মহত্তম লাভ , যেখানে ফলাফলের তর্ক নাই , বেতন নাই কেবল আনন্দ আছে ; কর্মই যেখানে সকলের চেয়ে প্রবল নহে , প্রভু যেখানে প্রিয় — সেখানে একবার যাইতে হইবে , একেবারে ঘরের বেশ পরিয়া , হাসিমুখ করিয়া । নহিলে প্রাণপণ চেষ্টায় কেবলই আপনাকে আপনি জীর্ণ করিয়া আর কতদিন এমন করিয়া চলিবে ? নিজের মধ্যে অন্ন নাই গো অন্ন নাই — অমৃতহস্ত হইতে অন্ন গ্রহণ করিতে হইবে । সে অন্ন উপার্জনের অন্ন নয় , সে প্রেমের অন্ন — হাত খালি করিয়া দিয়া অঞ্জলি পাতিয়া চাহিতে পারিলেই হয় । সহজ হইয়া সেইখানে চল্‌ — আজ নববর্ষের পাখি সেই ডাক ডাকিতেছে , বেলফুলের গন্ধ সেই সহজ কথাটিকে বাতাসে অযাচিত ছড়াইয়া দিতেছে । নববর্ষ যে সহজ কথাটি জানাইবার জন্য প্রতি বৎসর দেখা দিয়া যায় , রোগের শয্যায় কাজ ছিল না বলিয়া সেই কথাটি আজ স্তব্ধ হইয়া শুনিবার সময় পাইলাম — আজ প্রভাতের আলোকের এই নিমন্ত্রণপত্রটিকে প্রণাম করিয়া মাথায় করিয়া গ্রহণ করি ।

Post a Comment