শ্রীশ্রীবড়মার দুই ছেলে, দুই মেয়ে, ঠাকুরের মেজ ভাই প্রভাষদার তিন ছেলে, চার মেয়ে, ঠাকুরের ছোট ভাই কুমুদরঞ্জনদার দুই ছেলে, পাঁচ মেয়ে, ছোটমার ছেলে কাজলদা, অবিবাহিতা ননদ, বড়মার মা-বাপহারা ছোট বোন, বড়মার পরের বোনটার বিয়ে হয়েছিল হেমায়েতপুর চৌধুরী বাড়িতে। সে বোন ও জামাই দুজনেই একই দিনে মারা যান। তাদের রেখে যাওয়া দুই ছেলে ও এক মেয়ে, তাছাড়া মা-বাপহারা আশ্রমস্থ কত ছেলে-মেয়েদেরও কোলে-পিঠে করে মানুষ করা, লেখা-পড়া শিখানো, বড় করে বিয়ে-থা দেওয়ার সব দায়দায়িত্ব শ্রীশ্রীবড়মার। তার উপরে শ্রীশ্রীঠাকুরের শতসহস্র দীক্ষিত সন্তানের জননী তিঁনি। শিব একদিন মা কালিকে বলেছিলেন,‘ মাজা চিকন দেখে মা-কালিকে বিয়ে করেছিলাম খাবে কম কাজ করবে বেশি, এখন দেখি সে জগৎ বিওয়ে বসেছে।’ সৎসঙ্গ আন্দোলনের প্রথম দিকে আশ্রমে যারা থাকতেন এবং বাহিরে থেকে যারা আসতেন এক কথায় আনন্দবাজারের সবারই খাওয়ার ব্যবস্থা বড়মাকেই নিজ হাতে করতে হত। সবার খাওয়ার পর শুধু সাদা ভাত ছাড়া আর কিছুই থাকত না। বড়মা তাই তরকারীতে ফোড়ন দেওয়া লংকাগুলো নিজের জন্য চুপি-চুপি তুলে রাখতেন।
বড়বৌ বলছিল,‘তুমি থাকতে আমি মরি, এ আমার কখনও ইচ্ছা হয় না। কারণ, আমি জানি, আমি চলে গেলে তোমার অশেষ কষ্ট হবে।’ বড়মা মাঝে-মাঝে বলতেন,‘ তোমাদের সবাইকে দেখবার জন্য তো ঠাকুর আছেন কিন্তু তাঁকে দেখবার জন্য আমি ছাড়া আর কে আছে।’ শ্রীশ্রীঠাকুর ষ্ট্রোক করে বহুদিন ভুগছিলেন একবার, শ্রীশ্রী বড়মা তখন ৪২ দিন অন্ন গ্রহণ করেন নাই। সে কি ব্যকুলতা! আপসোস করে ঠাকুরকে বললেন,‘ মানুষের অসুখ হলে তোমার কাছে আসে। বলে, ঠাকুর! আমার মেয়ের অসুখ সেরে দাও। আমার ছেলে বেয়াড়া, আমার মনে শান্তি নেই। এই রকম সব কয়। কিন্তু আমরা আর কার কাছে যাব। ভগবান বলে যদি কিছু থাকে, তার কাছে জানাইÑতুমি সুস্থ হয়ে ওঠ।’ চন্দ্রপাণি দাসদা বড়মাকে বললেনÑঠাকুরের যে এবার কেন এমন হল, এ ব্যারামের তো কারণ বুঝি না। উত্তরে বড়মা বললেন,‘ হবে না? তোরা, আমরা তাঁকে সময়ে-অসময়ে যে-রকম ব্যথা দিচ্ছি, তিনি কেমন করে সুস্থ থাকবেন?’
বড়বৌ বলছিল,‘তুমি থাকতে আমি মরি, এ আমার কখনও ইচ্ছা হয় না। কারণ, আমি জানি, আমি চলে গেলে তোমার অশেষ কষ্ট হবে।’ বড়মা মাঝে-মাঝে বলতেন,‘ তোমাদের সবাইকে দেখবার জন্য তো ঠাকুর আছেন কিন্তু তাঁকে দেখবার জন্য আমি ছাড়া আর কে আছে।’ শ্রীশ্রীঠাকুর ষ্ট্রোক করে বহুদিন ভুগছিলেন একবার, শ্রীশ্রী বড়মা তখন ৪২ দিন অন্ন গ্রহণ করেন নাই। সে কি ব্যকুলতা! আপসোস করে ঠাকুরকে বললেন,‘ মানুষের অসুখ হলে তোমার কাছে আসে। বলে, ঠাকুর! আমার মেয়ের অসুখ সেরে দাও। আমার ছেলে বেয়াড়া, আমার মনে শান্তি নেই। এই রকম সব কয়। কিন্তু আমরা আর কার কাছে যাব। ভগবান বলে যদি কিছু থাকে, তার কাছে জানাইÑতুমি সুস্থ হয়ে ওঠ।’ চন্দ্রপাণি দাসদা বড়মাকে বললেনÑঠাকুরের যে এবার কেন এমন হল, এ ব্যারামের তো কারণ বুঝি না। উত্তরে বড়মা বললেন,‘ হবে না? তোরা, আমরা তাঁকে সময়ে-অসময়ে যে-রকম ব্যথা দিচ্ছি, তিনি কেমন করে সুস্থ থাকবেন?’
Post a Comment