Ads (728x90)

SRI SRI THAKUR VIDEO

Like this page

Recent Posts

World time

Add as a follower to automatically get updated Article. Jaiguru!

শ্রীশ্রীঠাকুর সংসারে মেয়েদের বলে লক্ষ্মী। কপালে মানুষ যারা, তাদের বৌ লক্ষ্মী হয়। আমার কপাল ভাল, তাই বড় বৌয়ের সঙ্গে বিয়ে হইছিল। এই বড়বৌ-ই কি কর্ত্তামার কাছে কম গাল খাইছে? গালায়ে ভূত ছাড়ায়ে দিতেন। ও চুপ করে থাকতো, টু-শব্দটি করতো না। বুঝে-বুঝে হাতের কাজ কা’ড়ে করতো। তাতে কর্ত্তামা খুব খুশি হতেন। এতসব পাশ করে আ’সে তবে না আজ বড়বৌ বড়বৌ!
 বড়খোকার কাছে যে লোকগুলি থাকে, তারা অনেকখানি শাসনের মধ্যে থাকে। তাই খানিকটা শায়েস্তা হয়। শাসন বজায় রাখা ভাল। নইলে আস্তে আস্তে গলদ ঢুকে যায়। বড়বৌ যদি কর্ত্তামার কাছে মানুষ না হত তবে ঐ বড়বৌ হত না। কর্ত্তামার গালি কি! মুখে কিছু করতে বলবে না, কিন্তু রাত থাকতে উঠে যখন সে ডোয়া গোবর দিতে যাবে সেই সময় যদি গোবরের হাড়ি নাতবৌ হাত থেকে কেড়ে না নেবে তো চটে কাই হয়ে যাবে। পান থেকে চুন খসলে ভোরবেলা থেকে চৌদ্দপুরুষ তুলে গালাগালি শুরু হয়ে যেত। আবার ভালবাসতও খুব।
 বড়বৌ-এর মত মানুষই দেখিনা, আমার খুব শ্রদ্ধা হয়। রামকৃষ্ণদেবের স্ত্রী মা ঠাকরুণ যেমন ছিলেন কতকটা সেই ধাঁচের। কংস রাজার খেয়ালের মত কত যে হুকুম চালিয়েছি, হাসিমুখে সুখে করেছে, সন্তপ্ত হয়ে নয়।
 বড়বৌ না হলে আমার লোকজীবন এমন নিরুদ্বেগ হত না।
 বড়বৌ পাহাড়ী সুন্দরী। [সীতাদেবীও খুব সুন্দরী ছিলেন]
 ‘বড়বৌ কে জানিস? আপনাদের ঠাকুর যদি নারী হয়ে জন্মাতো তবে তাঁর যে রুপ হত, তা ঐ বড়বৌ!’একই সত্তা দুই ভাগ হয়ে দুইটি বৈশিষ্ট্যে পরিষ্ফুট। একটি পুরুষ একটি নারী। আদি সৃষ্টির দুই কারণ। নারায়ণ আর লক্ষী।
§ শিব-শক্তি, পুরুষ-প্রকৃতি বিশ্বে আছে দুই ধারা,
এই দুয়েরই সঙ্গতিতে ভরদুনিয়ার সব গড়া।
 মাতা মনোমোহিনীদেবীর প্রয়াণের পর শ্রীশ্রীঠাকুর বড়মাকে বলেিছলেন,‘বড়বৌ, আমাদের মা আজ চলে গেলেন। আশ্রমবাসী মাতৃহারা হল আজ। আশ্রয়চ্যুত হল তারা। তুমি তাদের মা হও আজ থেকে। তুমি আশ্রয় হয়ে দাঁড়াও তাদের। তোমার স্নেহের কোলে বিশ্রাম লভুক আজ থেকে সকলে। আজ থেকে তুমি বধূ নও। আজ তুমি মা। সকলের জননী হলে আজ থেকে তুমি। একদিন বড়মার দয়ার কথা জৈনিকা এক মা শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেছিলেন,‘আপনার বড় খোকার মা’, শ্রীশ্রীঠাকুর শুনে বললেন,‘ও শুধু বড় খোকার মা নয়, তোমাদের মা, সকলের মা, আমারও মা।’
 শ্রীরামকৃষ্ণদেব একদিন গঙ্গার তীরে বসে সংশয়আচ্ছন্ন যোগীন-মাকে বলেছিলেনÑ‘ওকে (সারদামাকে) তেমনি জানবে। ওর উপর সন্দেহ এনো না। ওকে একে (আমাকে) অভেদ জানবে।’
 বড়বৌ-এর সঙ্গে আমার বিয়ে না হলি আমি গিছিলাম আর কি! আমার হাতে পড়ে ওকে আজীবন তাফাল কম সইতে হয়নি, কিন্তু ও বরাবর সমানে খুশি, আমার চলার পথে কোন অন্তরায় তো সৃষ্টি করেইনি, বরং হাসিমুখে আমার সহায়করূপে আমার পাশে এসে দাড়িয়েছে। আর, গিন্নিও বড় পাকা গিন্নি, বড়বৌ যেমন সুশৃঙ্খলভাবে অল্পের মধ্যে সংসার চালায়, অমন আজকাল খুব কম দেখা যায়। কর্ত্তামার গালাগালিই ওকে মানুষ করে দিয়ে গেছে।

Post a Comment