সংসারে সকলই নূতন। মনে করে দেখ, কাল তুমি কেমন ছিলে আজ আবার কেমন হইয়াছ! আমি কাল বা কেমন ছিলাম আজ আবার কেমন হইয়াছি! আমাদের বাল্য, কৈশোর কোথা দিয়া চলিয়া গিয়াছে, আমরা কিছুই ঠিক পাই নাই। সংসারের বাহিরের সকলই নিত্য নূতন, সকলই পরিবর্ত্তনশীল। আজ যাহা দেখিতেছ কাল আর তাহা দেখিবে না। রুপ যৌবন অর্থ সম্পত্তি আচার-ব্যবহার ইত্যাদি যাহা-কিছু বল-না বা দেখ-না, আজ যাহা বলিবে বা দেখিবে কাল আর তাহা বলিবে না বা দেখিবে না। সংসার চির-নূতন বা চির-পরিবর্ত্তনশীল, তবে বল দেখি কিসের পরিবর্ত্তন নাই? পরিবর্ত্তন নাই আত্মার। তুমি আমি যখন গর্ভে ছিলাম, প্রাণ বা আত্মা তখন যেমন ছিল আজও তেমনই আছে। এই আত্মাই এ বিশ্বসংসারে প্রধান কর্ম্মী। এই আত্মার যাহা ইচ্ছা তাহাই ঘটিয়া থাকে এবং চিরকালই ঘটিবে। এই আত্মার মিলনই বিবাহ, বিচ্ছেদই বিরহ।
চির-পরিবর্ত্তনশীল মনকে যদি অপরিবর্ত্তনীয় করিয়া চির-স্থির প্রাণের সহিত একত্রে নিরবিচ্ছিন্নভাবে মিশাইয়া রাখিয়া যদি ভালোবাসা যায়, তাহাকেই প্রকৃত ভালোবাসা বলে এবং সেই ভালোবাসার সহিত-ই ধর্ম্ম অর্থ কাম মোক্ষ নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিরাজমান থাকে। সে-ভালোবাসায় কামের ঘৃনিত লালসা নাই, সে-ভালোবাসায় ক্রোধের করাল মূর্ত্তি নাই, সে-ভালোবাসা লোভশুন্য, সে-ভালোবাসা মোহের ফাঁদে জীবকে জড়ায় না, সে-ভালোবাসায় নিম্নাকর্ষণকারী মায়া নাই, সে-ভালোবাসায় কেবল ভালোবাসাÑনিরবিচ্ছিন্ন ভালোবাসা। সে-ভালোবাসায় বিশ্ব বিকশিত হয়, সে-ভালোবাসায় বিরহ নাই, ভেদ নাইÑসে-ভালোবাসায় স্বামী-স্ত্রীর প্রাণ এক হয়ে যায়; দেবতাগণের যত পৃথিবী আছে সমস্ত পৃথিবী একত্র হইলেও তাহাতে বিরহ আনিতে পারে না, যদি ভালবাসিতে হয় তবে ঐরূপ ভালোবাসাই উচিত।
তুমি সাধ্বী সতী স্বামীপরায়ণা, তোমাকে আমি কি শিক্ষা দিব। বরং আমিই তোমার নিকট তোমার স্বামী-ভক্তি শিক্ষা করার উপযুক্ত। পার তো তুমিই আমায় যতদুর পার চালিয়ে নিও।
যে-স্ত্রী স্বামীকে সাক্ষাৎ দেবতা জানিয়া স্বামী-সেবা দেব-সেবা মনে করে, স্বামীর সুখে সুখিনী, স্বামীর দুঃখে দুঃখিনী হয়, যে রমণী স্বামী ভিন্ন আর কিছুই জানে না, এমন দেবীর নিকট আমার অনেক কিছুই শিক্ষার আছে।
আমার কয়েকটি কথা:
(২) মিথ্যা কথা ত্যাগ করা নিতান্ত কর্ত্তব্য। জানি তুমি মিথ্যা বল না, তবুও মানা করলাম।
(৫) রমনীর সতীত্ব রক্ষার চেয়ে আর শ্রেষ্ঠ কিছইু নাই। প্রাণ দিয়াও সতীত্ব রক্ষা করিবে।
[আলোচনা-আষাঢ়-১৪১৯/৫১৪]
চির-পরিবর্ত্তনশীল মনকে যদি অপরিবর্ত্তনীয় করিয়া চির-স্থির প্রাণের সহিত একত্রে নিরবিচ্ছিন্নভাবে মিশাইয়া রাখিয়া যদি ভালোবাসা যায়, তাহাকেই প্রকৃত ভালোবাসা বলে এবং সেই ভালোবাসার সহিত-ই ধর্ম্ম অর্থ কাম মোক্ষ নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিরাজমান থাকে। সে-ভালোবাসায় কামের ঘৃনিত লালসা নাই, সে-ভালোবাসায় ক্রোধের করাল মূর্ত্তি নাই, সে-ভালোবাসা লোভশুন্য, সে-ভালোবাসা মোহের ফাঁদে জীবকে জড়ায় না, সে-ভালোবাসায় নিম্নাকর্ষণকারী মায়া নাই, সে-ভালোবাসায় কেবল ভালোবাসাÑনিরবিচ্ছিন্ন ভালোবাসা। সে-ভালোবাসায় বিশ্ব বিকশিত হয়, সে-ভালোবাসায় বিরহ নাই, ভেদ নাইÑসে-ভালোবাসায় স্বামী-স্ত্রীর প্রাণ এক হয়ে যায়; দেবতাগণের যত পৃথিবী আছে সমস্ত পৃথিবী একত্র হইলেও তাহাতে বিরহ আনিতে পারে না, যদি ভালবাসিতে হয় তবে ঐরূপ ভালোবাসাই উচিত।
তুমি সাধ্বী সতী স্বামীপরায়ণা, তোমাকে আমি কি শিক্ষা দিব। বরং আমিই তোমার নিকট তোমার স্বামী-ভক্তি শিক্ষা করার উপযুক্ত। পার তো তুমিই আমায় যতদুর পার চালিয়ে নিও।
যে-স্ত্রী স্বামীকে সাক্ষাৎ দেবতা জানিয়া স্বামী-সেবা দেব-সেবা মনে করে, স্বামীর সুখে সুখিনী, স্বামীর দুঃখে দুঃখিনী হয়, যে রমণী স্বামী ভিন্ন আর কিছুই জানে না, এমন দেবীর নিকট আমার অনেক কিছুই শিক্ষার আছে।
আমার কয়েকটি কথা:
(২) মিথ্যা কথা ত্যাগ করা নিতান্ত কর্ত্তব্য। জানি তুমি মিথ্যা বল না, তবুও মানা করলাম।
(৫) রমনীর সতীত্ব রক্ষার চেয়ে আর শ্রেষ্ঠ কিছইু নাই। প্রাণ দিয়াও সতীত্ব রক্ষা করিবে।
[আলোচনা-আষাঢ়-১৪১৯/৫১৪]
Post a Comment