Ads (728x90)

SRI SRI THAKUR VIDEO

Like this page

Recent Posts

World time

Add as a follower to automatically get updated Article. Jaiguru!

 মকর সংক্রান্তি   বা  পৌষ সংক্রান্তি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পৌষ সংক্রান্তি
পৌষ সংক্রান্তি
Colourful kites being sold in a Shop in [Lucknow]
প্রধান নামMakar Sankranti
অপর নামসংক্রান্তি
ধরনSeasonal, Traditional
গুরুত্বFestival of Harvest, Celebration of Winter Solstice
তারিখJanuary 14
উদযাপন দিনসংখ্যাKite flying
রঙ বেরঙের ঘুড়ি
ঘুড়ি উড়ানোর জন্য সূতায় মাঞ্জা দিতে সুতা প্রস্তুত করা হচ্ছে
পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এই দিন বাঙালিরা বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করে খাকে। তার মধ্যে পিঠা খাওয়া, ঘুড়ি উড়ানো অন্যতম। সারাদিন ঘুড়ি উড়ানোব পরে সন্ধ্যায় পটকা ফুটিয়ে ফানুস উড়িয়ে উৎসবের সমাপ্তি করে। ভারতের বীরভূমের কেন্দুলী গ্রামে এই দিনটিকে ঘিরে ঐতিহ্যময় জয়দেব মেলা হয়। বাউল গান এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ।
পৌষপার্বণ বা পিঠেপার্বণ পশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত একটি হিন্দু লোকউৎসব। বাংলা পৌষমাসের সংক্রান্তিতে এই উৎসব পালিত হয়। এই দিন হিন্দুরা পিঠে প্রস্তুত করে দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন।
প্রাচীন কাল থেকেই দেবতার পূজায় পিঠের অর্ঘ্য প্রদানের রীতি রয়েছে। মধ্যযুগে ধর্মপূজায় মদ্যমাংসের সঙ্গে পিঠে নৈবেদ্যও দেওয়া হত। তবে দেবতার পূজায় নিবেদনের জন্য বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকার পিঠে প্রস্তুত করার বিধান রয়েছে। তবে গ্রীষ্মকালে পিঠেপুলি রুচিকর নয় বলে, বর্ষা বা শীতকালেই এই জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বছরের বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত পিঠেপর্বের মধ্যে পৌষ সংক্রান্তির পৌষপার্বণই সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ। এই দিনটি হিন্দু পঞ্জিকায় ‘মকর সংক্রান্তি’ বা ‘উত্তরায়ণ সংক্রান্তি’ নামেও পরিচিত। প্রাচীন হিন্দুরা এই দিনটিতে পিতৃপুরুষ অথবা বাস্তুদেবতার উদ্দেশ্যে তিল কিংবা খেজুড় গুড় দিয়ে তৈরি তিলুয়া এবং নতুন ধান থেকে উৎপন্ন চাল থেকে তৈরি পিঠের অর্ঘ্য প্রদান করতেন। এই কারণে পৌষ সংক্রান্তির অপর নাম তিলুয়া সংক্রান্তি বা পিঠে সংক্রান্তি। এই প্রাচীন উৎসবের একটি রূপ অদ্যাবধি পিঠেপার্বণের আকারে বাঙালি হিন্দু সমাজে প্রচলিত।
মধ্যযুগের বাংলা মঙ্গলকাব্যে নানাপ্রকার পিঠে ও পিঠে গড়ার বিচিত্র সব উপাখ্যানের উল্লেখ রয়েছে।

ঘুড়ি উৎসব

পৌষ সংক্রান্তির দিন বাঙালিরা সারাদিনব্যাপি ঘুড়ি উড়ায়। এইদিন ঘুড়ি উড়ানোর জন্য তারা আগে থেকে ঘুড়ি বানিয়ে এবং সুতায় মাঞ্জা দিয়ে প্রস্তুতি নেয়। ঘুড়ি উৎসব বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী একটি উৎসব। মুঘল আমল থেকে এই উত্সব পালিত হয়ে আসছে। এই উৎসবে প্রচুর লোক সমাগম ঘটে। পুরোন ঢাকার অধিবাসীদের কাছে এটি অত্যন্ত উৎসবমুখর দিন যা সাধারণত শীতকালে পালিত হয়।[১]

আউনি বাউনি

আউনি বাউনি (বানানান্তরে আওনি বাওনি) বা আগলওয়া পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে পালিত একটি শস্যোৎসব।[২] এই উৎসব ক্ষেতের পাকা ধান প্রথম ঘরে তোলা উপলক্ষ্যে কৃষক পরিবারে পালনীয় অনুষ্ঠানবিশেষ। হেমন্তকালে আমন ধান ঘরে প্রথম তোলার প্রতীক হিসেবে কয়েকটি পাকা ধানের শিষ ঘরে এনে কিছু নির্দিষ্ট আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে পৌষ সংক্রান্তির দিন দু-তিনটি ধানের শিষ বিনুনি করে 'আউনি বাউনি' তৈরি করা হয়। শিষের অভাবে দু-তিনটি খড় একত্রে লম্বা করে পাকিয়ে তার সঙ্গে ধানের শিষ, মুলোর ফুল, সরষে-ফুল, আমপাতা ইত্যাদি গেঁথে 'আউনি বাউনি' তৈরি করারও রেওয়াজ রয়েছে। এই আউনি বাউনি ধানের গোলা, ঢেঁকি, বাক্স-পেটরা-তোরঙ্গ ইত্যাদির উপর এবং খড়ের চালে গুঁজে দেওয়া হয়।[৩] বছরের প্রথম ফসলকে অতিপবিত্র ও সৌভাগ্যদায়ক মনে করে একটি পবিত্র ঘটে সারা বছর ধরে সংরক্ষণ করা হয়। এই আচারটিকেই 'আউনি বাউনি' বলা হয়।[৪

তথ্যসূত্র

  • বাংলার লোকসংস্কৃতির বিশ্বকোষ, ড. দুলাল চৌধুরী সম্পাদিত, আকাদেমি অফ ফোকলোর, কলকাতা, ২০০৪, পৃ. ৩২০
  1. Siddiqui, Dr. Kamal Uddin; Dr. Mahfuzul Haque, Zahirul Haque। Bangladesh: Fairs and Festivals। প্রকাশক: Ministry of Foreign Affairs, Government of the PRB। (Dhaka)। পৃ. 73।
  2. চক্রবর্তী, ড: বরুণকুমার, ed. (জানুয়ারী ২০০১)। বঙ্গীয় লোকসংস্কৃতি কোষ। প্রকাশক: অপর্ণা বুক ডিস্ট্রিবিউটার্স (প্রকাশন বিভাগ)। (কলকাতা)। পৃ. ২০। আইএসবিএন 81-86036-13-X
  3. "আউনি বাউনি", তারাপদ মাইতি; বাংলার লোকসংস্কৃতির বিশ্বকোষ, ড. দুলাল চৌধুরী সম্পাদিত, আকাদেমি অফ ফোকলোর, কলকাতা, ২০০৪, পৃ. ৩২২
  4. বাংলার লোকসংস্কৃতি; আশুতোষ ভট্টাচার্য; ন্যাশানাল বুক ট্রাস্ট, ইন্ডিয়া; নতুন দিল্লি; ২০০৫; পৃ. ৭১

Post a Comment