আজ কাগজে বেরিয়েছে ডমিনিয়ান পার্লামেন্টে প্রস্তাব উঠেছে মেয়েদের পৈতিৃক সম্পত্তিতে অধিকার থাকবে। এই সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, বৈষয়িক কোন ব্যবস্থা করতে গেলে তিনটে consideration( উদ্দেশ্য ) answer ( পূরণ ) করে কিনা ভেবে দেখতে হবে। প্রথমটা হচ্ছে - selfish consideration (স্বার্থপ্রণোদিত উদ্দেশ্য) অর্থাৎ ব্যবস্থাটা বিশেষ ব্যক্তি, বিশেষ পরিবার, বিশেষ সমাজ বা বিশেষ দেশের প্রকৃত ও স্থায়ী স্বার্থের পরিপন্থী কিনা। দ্বিতীয়টা হচ্ছে generous consideration (উদারতামূলক উদ্দেশ্য)। একপক্ষ যদি অপরের মঙ্গলের জন্য কিছুটা স্বার্থ ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকে, তাহলে ঐ স্বার্থত্যাগের ফলে শেষ পর্যন্ত অপর পক্ষের সত্যই ভাল হয় কিনা, আবার যে স্বার্থত্যাগ করে, তার সত্তাও বিপন্ন হয় কিনা - এমনতর সর্ব্বাঙ্গীন বিচার। আর, তৃতীয়টা হচ্ছে equitable consideration (ব্যক্তিবৈশিষ্ট্যপূরণী উদ্দেশ্য)। অর্থাৎ এ ব্যবস্থা প্রবর্ত্তনের ফলে প্রত্যেক ব্যক্তি, পরিবার, সম্প্রদায়, সমাজ ও দেশের সত্তাপোষণী বৈশিষ্ট্য ও স্বাতন্ত্র্য অক্ষুন্ন থাকে কিনা। এই সব বিভিন্ন দিকের সমন্বয় করে বৈষয়িক ব্যাপারগুলির বিলিব্যবস্থা করতে হয়। ফলকথা, প্রত্যেকেরই লাভবান হবার অধিকার আছে, কিন্তু অপরের সত্তা, স্বার্থ ও বৈশিষ্ট্যকে ব্যহত না করে। আবার, ত্যাগের ক্ষেত্রে সেই ত্যাগই ধর্ম্মদ, যে ত্যাগের ফলে সপরিবেশ বৈশিষ্ট্যসম্মত সত্তাসম্বর্দ্ধনা যথাসম্ভব অটুট থাকে।
তথ্যসূত্র: আলোচনা প্রসঙ্গে ( ১১শ খন্ড, ১১ / ০৪ / ১৯৪৮)
তথ্যসূত্র: আলোচনা প্রসঙ্গে ( ১১শ খন্ড, ১১ / ০৪ / ১৯৪৮)
Post a Comment