Ads (728x90)

SRI SRI THAKUR VIDEO

Like this page

Recent Posts

World time

Add as a follower to automatically get updated Article. Jaiguru!

‘মরো না, মেরো না, পারতো মৃত্যুকে অবলুপ্ত করো’ এই ছিল এ উপমহাদেশের কৃষ্টিগত উদ্দেশ্য।  কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয়, সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা ও মৃত্যুর ঘটনা এখন আর বিস্ময়ের কোন বিষয় নয়।  শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছেন, ‘যদি না আমরা প্রত্যেকে একে-অন্যের স্বার্থ হয়ে উঠি এবং প্রত্যেক স¤প্রদায় অন্য স¤প্রদায়ের স্বার্থ বজায় রাখি, সেখানে কোন স্বাধীনতা বা মুক্তি নেই।’

শ্রীশ্রীঠাকুর মতানুসারে, আমাদের এই অনৈক্যের কারণ অজ্ঞতা। তিনি বলেছেন, ‘এমন একটা দল বা গোষ্ঠী সব সময় আছে যারা দ্বন্ধ সৃষ্টি করতে চায়।’ এই ধরণের শয়তানি মনোভাব কঠোর আইনের মাধ্যমে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন কিন্তু এই কারণে, অন্যের  ধর্মের প্রতি অনুরাগকে ত্যাগ করা  এবং কৃষ্টিকে বিশেষায়িত করা ( সাম্যের নামে) এই কাজগুলোকে পোষণ দেওয়া উচিত নয়। যে বিশেষত্বের ভিতর দিয়ে আমরা নিজেদেও অস্তিত্বকে বাচিয়ে রাখতে চায়, সেই একই পথ বিস্তারিত করতে হবে অন্যদের
অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ‘বাঁচ এবং বাঁচতে দাও’। তাহলে সংঘাতের সুযোগ কোথায়?  (আলোচনা প্রসঙ্গে, ৮ম খন্ড, ২১/৫/১৯৪৬)

শ্রীশ্রীঠাকুর চাইতেন, প্রত্যেক স¤প্রদায় যেন অন্যের জন্য কাজ করে সেটা নিশ্চিত করার সুব্যবস্থা করা উচিত। আমি বলি, আমি যদি বেদ মেনে চলি, এর মাধ্যমে এটাই ইঙ্গিত করে যে, আমি কোরান ও বাইবেলও মেনে চলি। আমার ইচ্ছা হলো হিন্দুরা শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব ধর্মগ্রন্থই আলোচনা করবেনা, বরংচ অন্য স¤প্রদায় যেসব ধর্মীয়গ্রন্থ অনুসরণ করে, সেগুলোও আলোচনা করবে। এই ভাবে যতই আমরা একে অন্যেও প্রকৃত বিষয়টা অনুধাবন করতে পারব, ততই আমাদের মধ্যকার বিবাদ কমে আসবে। এর মাধ্যমেই পরষ্পরের প্রতি সহানুভূতির উন্নয়ন ঘটবে। [আলোচনা প্রসঙ্গে, ৮ম খন্ড, ২১/০৫/১৯৪৬]

ব্যক্তিগত স্বাধীনতা থাকা স্বত্ত্বেও কেউ যেন, অন্যকারো ক্ষতি সাধণ করতে না পারে সেটা সুনিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা উচিত। যে আইনী ব্যবস্থা ব্যক্তি স্বাধীনতা  ও অধিকার নিশ্চিত করে, সেটাও অন্যের ক্ষতি করতে বাধা দেই। এটিই শ্রেষ্ট এবং অনুপম। [আলোচনা প্রসঙ্গে, ৮ম খন্ড, ২/০৬/১৯৪৬]

তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা গৃহীত কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়ে মতামত দিতে গিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেন, “স্প্রাদায়িক পুরষ্কারের গ্রহনযোগ্যতা এবং ভোট বর্জন এ দুটিই ভুল। হিন্দু বা মুসলমান যাদেরই ক্ষতি হোক না কেন, সেটা ভাল নয়। যদি কারো অস্তিত্ব¡ হুমকির সম্মুখীন হয়, তাহলে অন্যেও এটি ক্ষতির কারণ হবে ।”  তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, “আমরা হিন্দুবাদ বা ইসলাম কিছুই জানিনা। আমরা বুঝি বাঁচা ও বাড়ার জন্য মানবিক অধিকার, সাধারণ ভোটার, বিজ্ঞতর পরিচালিত সুসংগঠিত আশ্রয়স্থল এবং যোগ্য ব্যক্তি, যোগ্য স্থানে।” [আলোচনা প্রসঙ্গে, ৮ম খন্ড, ২১/০৫/১৯৪৬]

তিনি বলেছেন, যেসব ব্যক্তিদের কোন আদর্শ বা ইষ্ট নেই এবং নিজেদের চিন্তাধারায় যা ভাল মনে হয়, অন্যের জন্য সেই পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগিয়ে যায়, সেখানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিরপেক্ষ বা কোন বিশেষ বিষয়ের প্রতি ঝোঁকমুক্ত বিচার বা সিদ্ধান্তের জন্য আদর্শের প্রতি অনুরক্ত থাকা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, “অন্যের ভালো করার মাধ্যমে একজনের ভাল’র দিকে যে দৃষ্টি, যখন সে তার ইষ্টের ইচ্ছা কিভাবে পরিপূর্ণ করতে হবে তা ভাবে, তাকে তাঁর অন্যের ভাল করার কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত। এটাই স্বাস্থ্য, সম্পদ ও সুখের দিকে যাত্রার পথ। ”

বিশ্ব ভাতৃ বোধ রজায় রাখার জন্য শ্রীশ্রীঠাকুর বিশ্বের সকল দেশের সমন্বয়ে একটি বিশেষ জরুররি তহবিল গড়ে তোলার আশা করতেন, যাতে একদেশের প্রতি অন্যদেশের ভাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়। ধ্বংস বা প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় এ তহবিল ব্যবহার করা যাবে, যাতে বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধি আরো সহজতর করে তোলা যায়। তিনি বলেছেন, “আমাদের দায়িত্ব হলো সকলের স্বার্থ হয়ে ওাা এবং প্রত্যেককে এক-অন্যের স্বার্থ করে তোলা।”
[আলোচনা প্রসঙ্গে, ৮ম খন্ড, ২/৬/১৯৪৬]

শ্রীশ্রীঠাকুর স্বল্পমেয়াদী লাভবান হওয়ার জন্য সা¤প্রদায়িক তকমা লাগানোর ঘোর বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, “হরিজন স¤প্রদায় তকমা লাগিয়ে পরবর্তীতে গড়ে উঠে হরিজন আন্দোলন। এসব কর্মের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত হতে অনেক সময় শত বছর পার হয়ে যায়। প্রত্যেকের বৈশিষ্ট্যের বৈচিত্রতা রক্ষা করে, সমাজের ঐক্য আরোতর বাড়িয়ে তোলায় আমাদের লক্ষ্য করা উচিত। ”
[আলোচনা প্রসঙ্গে, ৮ম খন্ড, ২৭/৭/১৯৪৬]

শ্রীশ্রীঠাকুর চাইতেন, “আমরা সবাই যেন সবসময়  বিরুদ্ধ বা প্রতিকূল অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকি। একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তি কেমন আচরণ করবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই ব্যপক দূর্যোগের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকাই ভালো, যাতে কম বিচলিত হয়। ”

Post a Comment