কর্ম্মীসংগ্রহ-সম্বন্ধে কথা উঠলো।
শ্রীশ্রীঠাকুর― শুনেছি, বিবেকানন্দ ত্যাগের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ ক’রে বক্তৃতা ক’রে কত মানুষ recruit (সংগ্রহ) করেছেন। বক্তৃতামঞ্চ থেকে নামার সঙ্গে-সঙ্গে লোক জ’মে যেত। তোমরা যদি surrendered (আত্মসমর্পিত) হও, তাহ’লে surrender (আত্মসমর্পণ) জিনিসটা অন্যের মধ্যে অবশ্যই infuse (সঞ্চার) করতে পারবে। তুমি যদি ভক্তির অছিলায় টাকা-পয়সা, নামে-কামে surrendered (আত্মসমর্পিত) হও, তাহ’লে অমনতর চাহিদাওয়ালা লোককেই তুমি আকৃষ্ট করতে পারবে।
বিশুদ্ধ ভক্তি যারা চায়, তারা তোমার কাছে ভিড়বে না। তোমার কৃত্রিম চলন, তাদের ভাল লাগবে না। জান্ দিয়ে থাকলে জান্ পাবে― অর্থাৎ ইষ্টের সেবায় নিজেকে যদি নিঃশেষে দিয়ে থাক, অন্যকেও তুমি তেমন করতে প্রবুদ্ধ ক’রে তুলতে পারবে। যার যেমন চরিত্র, যার যেমন অভ্যাস, তার impulse (সাড়া)-ও তেমনতর হয়। তুমি যদি feel(অনুভব) ক’রে মানুষকে দাও, অন্যেও তোমাকে দেখে feel(অনুভব) ক’রে দেবে। তা’ ছাড়া প্রয়োজনমত অন্যের কাছে সহজভাবে চাইতেও তোমার লজ্জা করবে না। অবশ্য দিতে চায় না, নিতে চায়, এমনতর একদল সঙ্কোচহীন ভিক্ষুক আছে। তাদের দেখে কিন্তু মানুষের দেবার প্রবৃত্তি কমই জাগে।
( আলোচনা প্রসঙ্গে, সপ্তম খন্ড, তাং – 08/05/1946)
শ্রীশ্রীঠাকুর― শুনেছি, বিবেকানন্দ ত্যাগের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ ক’রে বক্তৃতা ক’রে কত মানুষ recruit (সংগ্রহ) করেছেন। বক্তৃতামঞ্চ থেকে নামার সঙ্গে-সঙ্গে লোক জ’মে যেত। তোমরা যদি surrendered (আত্মসমর্পিত) হও, তাহ’লে surrender (আত্মসমর্পণ) জিনিসটা অন্যের মধ্যে অবশ্যই infuse (সঞ্চার) করতে পারবে। তুমি যদি ভক্তির অছিলায় টাকা-পয়সা, নামে-কামে surrendered (আত্মসমর্পিত) হও, তাহ’লে অমনতর চাহিদাওয়ালা লোককেই তুমি আকৃষ্ট করতে পারবে।
বিশুদ্ধ ভক্তি যারা চায়, তারা তোমার কাছে ভিড়বে না। তোমার কৃত্রিম চলন, তাদের ভাল লাগবে না। জান্ দিয়ে থাকলে জান্ পাবে― অর্থাৎ ইষ্টের সেবায় নিজেকে যদি নিঃশেষে দিয়ে থাক, অন্যকেও তুমি তেমন করতে প্রবুদ্ধ ক’রে তুলতে পারবে। যার যেমন চরিত্র, যার যেমন অভ্যাস, তার impulse (সাড়া)-ও তেমনতর হয়। তুমি যদি feel(অনুভব) ক’রে মানুষকে দাও, অন্যেও তোমাকে দেখে feel(অনুভব) ক’রে দেবে। তা’ ছাড়া প্রয়োজনমত অন্যের কাছে সহজভাবে চাইতেও তোমার লজ্জা করবে না। অবশ্য দিতে চায় না, নিতে চায়, এমনতর একদল সঙ্কোচহীন ভিক্ষুক আছে। তাদের দেখে কিন্তু মানুষের দেবার প্রবৃত্তি কমই জাগে।
( আলোচনা প্রসঙ্গে, সপ্তম খন্ড, তাং – 08/05/1946)
Post a Comment