শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রাণের ইচ্ছা ছিল একটা
বিশ্ববিদ্যালয় করার। ৬ জন ছাত্রপিছু একজন অধ্যাপক থাকবেন। সব বিষয়েরই চর্চা
হবে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনকি পশুপক্ষীর ভাষা, মিলিটারি ট্রেনিং, রণকৌশল
সবই থাকবে। ওখান থেকে যেন একজন মানুষ completely trained (সম্পূর্ণরূপে
শিক্ষিত) হয়ে বেরিয়ে আসে।
২রা বৈশাখ, শনিবার, ১৩৬৮ (১৫ই এপ্রিল, ১৯৬১) নববর্ষ পুরুষোত্তম স্বস্তিতীর্থ মহাযজ্ঞের তৃতীয় তথা সমাপ্তি দিবসে উৎসব মন্ডপে সৎসঙ্গী সম্মেলনে শ্রীশরৎচন্দ্র হালদার বলেন― “শ্রীশ্রীঠাকুরের ছোটবেলার থেকে স্বপ্ন শান্ডিল্য বিশ্ববিদ্যালয় গ’ড়ে তোলা। তা’ তিনি এখানে করতে চান। অনেক কর্ম্মীকেই ডেকে-ডেকে তিনি একথা বলেছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয় এমনভাবে তৈরি করতে চান যে, একটা নিরক্ষর মানুষ যদি শুধু তার একদিক থেকে আর একদিকে হেঁটে যায় তাহলেই দেখে-দেখে সে শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারবে। এখানে থাকবে― ভূবিদ্যা, জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র, শিল্প, খনিজবিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র, শরীরতত্ত্ব, উদ্ভিদবিদ্যা, যাদুঘর, গবেষণাগার, মেয়েদের বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্হা, বিশেষ সংস্কৃত শিক্ষার ব্যবস্হা, পশুপালন, বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা, চারিত্রিক ও ব্যবহারিক উৎকর্ষ সাধনের শিক্ষা প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন দিকে বিরাট জ্ঞানভান্ডার।
হাতে-কলমে ক’রে ছেলেরা শিখতে পারে এবং শেখার পরে যাতে চাকরীর জন্য দ্বারে-দ্বারে ঘুরতে না হয় তার ব্যবস্হাও থাকবে। আবার, ভারতের বাইরে থেকে ছেলেরাও এসে যাতে এখানে পাঠ নিতে পারে তার জন্য তাদের থাকা এবং উপযুক্ত খাদ্যাদির ব্যবস্হাও থাকবে। তাহলে বুঝে দেখুন, শ্রীশ্রীঠাকুরের পরিকল্পনা কী বিরাট। কিছুদিন আগে এখানে আমেরিকার জনৈক বিজ্ঞানী ডঃ কাট ফ্যান্টল এসেছিলেন। শান্ডিল্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরিকল্পনা শুনে তিনি বললেন, এ জিনিস রূপায়িত হলে বিশ্বের মহাকল্যাণ হবে”।
(ক্রমশঃ)
Ref- (আলোচনা পত্রিকা,বৈশাখ, ১৩৬৮)
(মণিলাল চক্রবর্তী প্রণীত-স্মৃতির মালা)
২রা বৈশাখ, শনিবার, ১৩৬৮ (১৫ই এপ্রিল, ১৯৬১) নববর্ষ পুরুষোত্তম স্বস্তিতীর্থ মহাযজ্ঞের তৃতীয় তথা সমাপ্তি দিবসে উৎসব মন্ডপে সৎসঙ্গী সম্মেলনে শ্রীশরৎচন্দ্র হালদার বলেন― “শ্রীশ্রীঠাকুরের ছোটবেলার থেকে স্বপ্ন শান্ডিল্য বিশ্ববিদ্যালয় গ’ড়ে তোলা। তা’ তিনি এখানে করতে চান। অনেক কর্ম্মীকেই ডেকে-ডেকে তিনি একথা বলেছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয় এমনভাবে তৈরি করতে চান যে, একটা নিরক্ষর মানুষ যদি শুধু তার একদিক থেকে আর একদিকে হেঁটে যায় তাহলেই দেখে-দেখে সে শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারবে। এখানে থাকবে― ভূবিদ্যা, জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র, শিল্প, খনিজবিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র, শরীরতত্ত্ব, উদ্ভিদবিদ্যা, যাদুঘর, গবেষণাগার, মেয়েদের বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্হা, বিশেষ সংস্কৃত শিক্ষার ব্যবস্হা, পশুপালন, বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা, চারিত্রিক ও ব্যবহারিক উৎকর্ষ সাধনের শিক্ষা প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন দিকে বিরাট জ্ঞানভান্ডার।
হাতে-কলমে ক’রে ছেলেরা শিখতে পারে এবং শেখার পরে যাতে চাকরীর জন্য দ্বারে-দ্বারে ঘুরতে না হয় তার ব্যবস্হাও থাকবে। আবার, ভারতের বাইরে থেকে ছেলেরাও এসে যাতে এখানে পাঠ নিতে পারে তার জন্য তাদের থাকা এবং উপযুক্ত খাদ্যাদির ব্যবস্হাও থাকবে। তাহলে বুঝে দেখুন, শ্রীশ্রীঠাকুরের পরিকল্পনা কী বিরাট। কিছুদিন আগে এখানে আমেরিকার জনৈক বিজ্ঞানী ডঃ কাট ফ্যান্টল এসেছিলেন। শান্ডিল্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরিকল্পনা শুনে তিনি বললেন, এ জিনিস রূপায়িত হলে বিশ্বের মহাকল্যাণ হবে”।
(ক্রমশঃ)
Ref- (আলোচনা পত্রিকা,বৈশাখ, ১৩৬৮)
(মণিলাল চক্রবর্তী প্রণীত-স্মৃতির মালা)
প্রথমেই শ্রী শ্রী ঠাকুরের রাতুল চরণে আমার শত কোটি প্রণাম ও আপনাকে জয়গুরু! ঠাকুরের ইচ্ছে আমাদের পূর্ণ করতেই হবে। শুনছিলাম শাণ্ডিল্য ইউনিভার্সিটির জন্য দেওঘরে জমির সমস্যা হচ্ছে, আপনারা কিছু জানেন?
ReplyDeleteঠাকুরের জীবন দর্শন গবেষণা করতে আবার আলাদা সংগঠন লাগে 😜
ReplyDeleteযারা প্রাণের সংগঠন, শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত "সৎসঙ্গ"
বিরুদ্ধতা করে আলাদা সংগঠন করে তারা সৎসঙ্গের শত্রু।
আমি alambain gotra ও সাহা পদবী বিষয়ে জানতে চাই ।আমি কি বৈশ্য বর্ণের মধ্যে পরি?
ReplyDelete